
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বাসের চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ওই পরিবারের আহত একমাত্র শিশু নাহিদ ময়মনসিংহ মেডিকেলের আইসিইউতে ভর্তি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দিলে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হন। দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, প্রাইভেটকারে থাকা নেত্রকোনার দুর্গাপুরের রফিকুজ্জামান, তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার শাহীন, ছেলে নাদিম, মেয়ে রনক জাহান ও রফিকুজ্জামানের শ্যালক আশরাফুল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আশরাফুল। তিন বছরের শিশু পুত্র নাহিদ ও চালক ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি আছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বেপরোয়া গতি ও ওভারটেকিংয়ের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
স্টেশন অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, বাসটি প্রাইভেটকারটিকে পেছন থেকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা হয়।
ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও প্রাইভেটকার ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। রামগোপালপুর এলাকায় পৌঁছে বাসটি প্রাইভেটকারটিকে ওভারটেক করতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি প্রাইভেটকারের মুখোমুখি হয়ে পড়ে। এসময় বাস চালক বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেট কারটিতে বাঁচাতে হুট করেই ডান পাশে চলে আসে। ফলে যে প্রাইভেট কারটিকে ওভারটেক করতে চাচ্ছিল বাসটি সেই প্রাইভেট কারটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়। বাকী চারজন পরে মারা যায়।
নিহত রফিকুজ্জামান ঈশ্বরগঞ্জের মধুপুর এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রাইভেটকারে গৌরীপুরে একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

