ঈদের রাতে কিশোরীকে ধর্ষণ করা দুই আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

প্রকাশিত: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০১৯

ভোলায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামী নিহত হয়েছেন। এরা হলেন, ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫) ও একই এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে মঞ্জুর আলম (৩০)।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাত প্রায় ২-৩ টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ রাজাপুর এলাকার নদীর র্তীরবর্তী এলাকায় দুই জলদস্যু গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এসময় সংবাদ পেয়ে পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলির মুখে জলদস্যুরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবকের গুলিবৃদ্ধ মরদেহ, একটি বন্দুক, দুইটি রাম দাঁ ও গুলির খোসা উদ্ধার করে। বুধবার সকালে লাশ দুটি ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেলে ধর্ষীতার বাবা ও ভাই মিলে লাশ দুটি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আল আমিন এবং মঞ্জুর আলমের বলে শনাক্ত করেন।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ও শনাক্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, দুটি রাম দাঁ ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গতঃ- রবিবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চর শিপলী গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রী ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি লাগাতে তাদের পাশের ঘরের মাহাফুজের স্ত্রী লিজা বেগমের কাছে যান। ওই সময় মাহাফুজের বাড়ির ভাড়াটিয়া আল আমিন ও মঞ্জুর আলম তাকে ডেকে বাড়ির কাঁচারি ঘরে নিয়ে হাত পা ও মূখ বেঁধে গণধর্ষণ করে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষীতার পরিবারের সদস্যরা ধর্ষীতাকে ওই ঘরের থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ধর্ষীতার গোপনঅঙ্গ থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়ে ধর্ষীতার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে ধর্ষীতার পরিবারের পক্ষ থেকে ভোলা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রধান আসামী আল আমিন ও মঞ্জুর আলম।

মন্তব্য করুন