
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যার শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট করা হয়েছে। রিটে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে রেনুর পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (২৮ জুলাই) সকালে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আজ।
এছাড়াও গণপিটুনিতে জড়িতদের বিচারে পৃথক আইন তৈরির নির্দেশনার পাশাপাশি গণপিটুনির হাত থেকে রেনুকে বাঁচাতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে গুজব-সংক্রান্ত সব পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেলার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ও বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)কে।
প্রসঙ্গত, গত (২০ জুলাই) শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রেনুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মুহূর্তের মধ্যে লোকে জড়ো হয়ে পিটুনি দিলে গুরুতর জখম হন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তাসলিমার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা চারশ থেকে পাঁচশ মানুষকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় অন্যতম হোতা হৃদয়কে গ্রেফতারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ড দেয় পুলিশ। এছাড়াও আটক করা হয়েছে গুজব রটনাকারী রিয়া বেগম ওরফে ময়না (২৭) কে। সন্দেহভাজন আরও তিনজনকেও আটক করা হয়েছে এ ঘটনায়।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস
		
