প্রিয়ার বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ স্থানীয় সাংসদ শ ম রেজাউলসহ এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ৯:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০১৯

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা যে মিথ্যা নালিশ করেছে তাতে ক্ষুদ্ধ তারই এলাকা পিরোজপুরের জনগণ। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে খোদ তাঁরই সম্প্রদায়ের লোকজন।

পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, প্রিয়া বালা সাহা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসত্য। তাই আমি তার বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। প্রিয়া সাহা আমার নির্বাচনী এলাকারই বাসিন্দা। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমার এলাকায় এতো দিনে কেউ গুম হননি। এখানে মৌলবাদ নেই। তার এই মিথ্যা বক্তব্য নাজিরপুরের কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক গ্রহণ করেনি সবাই প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রিয়া সাহা অসৎ উদ্দেশ্যে কোন ষড়যন্ত্র নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এ অভিযোগ করে থাকতে পারে।

তিনি বলেন, প্রিয়া বালা সাহার বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রিয়া সাহার ঘটনায় তৃতীয় পক্ষ যেন কোনো সুবিধা নিতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, সহযোগিতা করতে হবে। তার বক্তব্য স্থানীয় কেউই গ্রহণ করেননি।

এ বিষয়ে নাজিরপুর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার রায় বলেন, প্রিয়ার ভাই জগদীশ বিশ্বাসের একটি পরিত্যক্ত ঘরে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ করে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোকজনকে ফাঁসানোর জন্য আসামি করা হয়। সেই মামলা চলমান। আমি মনে করি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে এ নিয়ে অভিযোগের আসল উদ্দেশ্য হলো তার মেয়েদের গ্রিন কার্ড পাইয়ে দেওয়া। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

প্রিয়া সাহার গ্রামের বাড়ীতে আত্মীয়-স্বজনরা বলেন, প্রিয়া সাহার জমিজমা নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রিয়া সাহা নিজেই নিজের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারা বলছেন প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ঘর থেকে বেশীরভাগ জিনিস পত্র সরিয়ে পুরাতন ভাঙ্গা একটি ঘর প্রিয়া সাহা নিজেই আগুন ধরিয়ে দিয়ে সেগুলো ভিডিও করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়েছেন।

পরবর্তীতে এই প্রিয়া সাহা সুযোগ বুঝে মিথ্যা সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী তার ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছে বলে মিডিয়াতে প্রচার করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পর্যন্ত এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসেছে যে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায় হলো জঙ্গি। এই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার উস্কানী দিয়ে এসেছে।

পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, নাজিরপুর উপজেলায় বা পিরোজপুর জেলার কোথাও কোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতে কেউ চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। দেশের বাইরে গিয়ে যেকোনো নাগরিকের উচিত দেশের বিষয়ে ভেবেচিন্তে কথা বলা।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন