খেজুর ও জমজমের পানি খাওয়ানো হবে ইসকনের প্রসাদ খাওয়ানো মুসলিম শিশুদের

প্রকাশিত: ১১:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০১৯

উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের প্রসাদ বিতরণ এবং ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে হাটহাজারীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রসাদ বিতরণ করা স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে জমজমের পানি এবং খেজুর বিতরণ করা হবে।

‌চট্টগ্রামে প্রায় ৩০টি স্কুলে বিতর্কিত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন তাদের রথযাত্রা উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী “ফুড ফর লাইফ” কর্মসূচির আড়ালে মুসলিম কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে হরে কৃষ্ণ হরে রাম – জয় শ্রী রাম শ্লোক-মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে প্রসাদ খাদ্য গ্রহণ করতে বাধ্য করা এবং ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে হাটহাজারীতে বিশাল প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে “মুসলিম ছাত্র জনতা ঐক্য পরিষদ ।

‌সভায় বক্তারা ইসকনের কৃতকর্মের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তারা এই ঘটনাকে মুসলিম ধর্মের উপর আঘাত বলে অবিহিত করেন। এমন ঘটনায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে উস্কে দেবার আশংকা প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, ইসকনের উগ্রবাদী হিন্দুরা হরে রাম হরে কৃষ্ণ বলে মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ করে ভিডিওর মাধ্যমে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।

তাদের এমন কর্মকাণ্ডে মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আমরা এই উগ্রবাদী সংগঠনটিকে এমন কৃতকর্মের জন্য জাতীর কাছে প্রকাশ্যে অনুতপ্ত হওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এ আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।এছাড়াও প্রসাদভোগী স্কুল ছাত্রদের জমজমের পানি ও খেজুর খাওয়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় এ সমাবেশে। এছাড়াও এক ধর্মের শিশুকে অন্য ধর্মের আচার চাপিয়ে দেয়া সাংবিধানিক অপরাধ দাবি করেছেন তারা।

মাওলানা কামরুল ইসলাম কাছেমী ও মুফতী মাসউদু রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতিত্ব করেন প্রতিবাদ সভার আহবায়ক, মাওলানা এমরান সিকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন ,হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস,আল্লামা মুমতাজুল করিম (বাবা হুজুর।) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস, বক্তব্য রাখেন, জনাব আহছানুল্লাহ, মাওলানা নাছিম সাহেব, জনাব নুর মুহাম্মদ, মাওলানা হাফেজ আব্দুল মাবুদ,মাওলানা মহিউদ্দিন,মাওলানা আসাদ প্রমুখ।

‌বক্তারা আরও বলেন, নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশে আমরা চাই সকল ধর্মের মানুষ এখানে সম্পৃতি বজায় রেখে সহাবস্থান করুক। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময়ে উস্কানিমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে সেই পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা চালায়। এর পরিণতি ভয়াবহ দেখা দিতে পারে। দেশ ও জাতির কল্যাণের কথা চিন্তা করে সরকারের এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

‌এছাড়াও ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও হত্যার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। ভারতে মুসলমানদের নাগরিক অধিকার আদায়ে বিশ্ববাসীকে সচেষ্ট হতে আহবান করেন তারা। জয় শ্রীরাম বলতে বৈদ্যুতিক খুটির সাথে বেঁধে যে অমানবিক কাণ্ড করেছে তা বিশ্বের যে কোন ধর্মের মানুষকে মর্মাহত করেছে।

ভারত সরকার এর কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। বক্তারা আরো দাবি করেন, বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেদেশে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ডাকবাংলো চত্বর হতে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড, হাটহাজারী কলেজ হয়ে মাদরাসার সামনে এসে শেষ হয় মিছিল।

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন