
ডেস্ক প্রতিবেদন: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির নাম আসলেও মুলত ভোটের ফলাফলে বিএনপি কোন লড়াইয়ে যেতে পারেনি। ১৫২ আসনেই বিএনপির জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীকে ২৫৬ট আসনে বিএনপি প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন ১৫২ জন এ এবং জামায়াতের ২২ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ১১ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ২৯৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১ হাজার ৮৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ১ হাজার ৪২২ জন। রক্ষা করতে পেরেছেন মাত্র ৪৪৩ জন প্রার্থী।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে, ‘মনোনয়নপত্র কেনার সময় একজন প্রার্থীকে জামানত হিসেবে ২৫ হাজার টাকা নির্বাচন কমিশনে জমা রাখতে হয়। নির্বাচনে কোনও আসনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট কোনও প্রার্থী যদি না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ বা তার বেশি ভোট পেলে জামানত হিসেবে রাখা ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।’
প্রসঙ্গত: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে এ অভিযোগ আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দলই করে আসছে। বিদেশী গণমাধ্যমগুলোতেও ভোটে অনিয়ম আর কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে।