
ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর এফডিসিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘সাক্ষীদের যাতে কেউ প্রভাবিত এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৯২ জন সাক্ষী। ‘এর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করেছেন। বাকিদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। তবে এই মামলায় ১-৭ পর্যন্ত সাক্ষীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাকি ৮-৩২ পর্যন্ত সাক্ষীর ওপর মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।’
এ মামলার তদন্তে কোনো রাজনৈতিক বা মানসিক প্রভাব ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব মামলাতে মানসিক চাপ থাকে। এ মামলায়ও মানসিক চাপ ছিল। তবে সব ধরনের চাপ অতিক্রম করেই মামলার চার্জশিট দিয়েছি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ভাগ্য ভালো যে, এখানে পাবলিক প্রসিকিউটরের বাইরেও নুসরাত জাহান রাফির মামলার পক্ষে তার ভাই একজন সলিসিটর নিয়োগ করেছেন।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম নুসরাতের যে ভিডিওটি করেছিলেন তিনি এমনটি করতে পারেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, মামলার তদন্তের সার্থে ওসি ভিডিও করতে পারেন। তবে নুসরাতের ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম যে ভিডিও করেছে, সেটি করা তার এখতিয়ার ছিল না। এটা তার বাড়াবাড়ি ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত পরীক্ষায় অংশ নিতে মাদরাসায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে ডেকে কৌশলে মাদরাসার ছাদে নিয়ে যায়। পরে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নুসরাতের।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

