নাজিরপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ১ বছর ধরে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০১৯

এবার পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক মা-বাবাহীন এতিম ছাত্রকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও চিত্র প্রচারের করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ছাত্রীর পরিবার জানায়, মেয়েটি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় এক বছর আগে একই গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাত আল-মামুন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এরপর থেকে ওই ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল।

নির্যাতিত ছাত্রী জানান, এক বছর আগে রঘুনাথপুর গ্রামের রিফাত আল মামুন তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে এবং সেই ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরে তা প্রচারের ভয় দেখিয়ে গত এক বছরে বহুবার তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানান নির্যাতিত ওই ছাত্রী।

সম্প্রতি ওই ধর্ষক ও তার বন্ধুরা গত রমজান মাসে স্থানীয় আ.লীগ নেতা হোমিও চিকিৎসক মোয়াজ্জেম তার ফোন থেকে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়েদে। ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে প্রথমে আইসিটি আইনে থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে মেয়েটির পরিবার। ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে গিয়ে প্রাণে বেঁচে। এর বেশ কিছুদিন পরে ধর্ষক রিফাত আল মামুনসহ চার জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করা হয়।

ধর্ষক রিফাত এবং তার বন্ধুরা মিলে প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে আসে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয় মামলা তুলে নেওয়া জন্য। মামলা তুলে না নিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিন্তু আমরা বাড়িতে থাকতে পারি না। আমি ভালো ভাবে বাঁচতে চাই।

এদিকে ধর্ষক ও তার পরিবার মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তখন মামলা থেকে রেহাই নিয়ে পরিবারের সকল সদস্যসহ পালিয়ে যায়। ধর্ষকের খালা সাহানাজ বেগম পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে।

স্থানীয় এক মানবধিকার কর্মী মুন্নি আক্তার অসহায় ছাত্রীটির পাশে দাঁড়ানোর কারণে তাকেও পড়তে হয় নানা হুমকির মুখে।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মুনির জানান, ধর্ষণের ঘটনায় আইসিটি ও ধর্ষণের পৃথক দুইটি মামলা নেয়া হয়েছে। আসামি রিফাতকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মা-বাবাহীন এতিম মেয়েটি লোক লজ্জার ভয়ে পারছেনা বাইরে বেরোতে। যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জনিয়েছেন এলাকাবাসীরা।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন