

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন আরো কঠিনতর হবে। অথচ গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য গ্রহণযোগ্য কোন যৌক্তিক কারণ ছিল না।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় প্রদত্ত এক বিবৃতিতে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, বিভিন্ন খাতে সরকারী অর্থের অপচয়, অপব্যবহার এবং দুর্নীতির খবর প্রায়ই মিডিয়ায় আসে। কিন্তু সরকারী সম্পদের সুষম বণ্টন এবং ব্যবহার নিশ্চিত না করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অমানবিক ও গণবিরোধী পদক্ষেপ ছাড়া কিছু নয়। তিনি অবিলম্বে সরকারের প্রতি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার দাবি জানান।
আল্লামা কাসেমী আরো বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এই ঘোষণা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনযাত্রার মানকে আরো বিপর্যস্ত করে তুলবে। যা অগণতান্ত্রিক, অযৌক্তিক এবং গণবিরোধী। গত ১০ বছরে গ্যাসের দাম ৬ বার বাড়ানো হয়েছে। সরকারের ভুল নীতির ফলে জ্বালানি খাতে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় জনগণের উপর চাপানোর অপচেষ্টা হিসেবে গ্যাসের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এলএনজি আমদানিতে প্রতি ঘনমিটারে ৬ ডলার খরচ পড়লেও বাংলাদেশে তা ১০ ডলার খরচ পড়ছে- এমন অভিযোগ ইতিপূর্বে হাইকোর্ট থেকেও করা হয়েছে। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? এই বাড়তি টাকা কোথায় যাচ্ছে?
তিনি বলেন, এই অর্থ যাচ্ছে সরকারী রাঘব বোয়াল ও ব্যবসায়ীদের পকেটে। এর উপর গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি ঘটিয়ে জনগণের পকেট কেটে ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের জন্য শোষণের পথ তৈরি করা হয়েছে। আল্লামা কাসেমী দেশবাসীর প্রতি সকল প্রকার দুর্নীতি, শোষণ ও জুলুম প্রতিরোধ এবং সম্পদের সুষম বণ্টন ও ন্যয্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সচেতন ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।