

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত দেবেন না।
এই দেশে অধিকাংশ মুসলিম। দাড়ি, টুপি থাকলেই জঙ্গি বলা চলবে না।
তিনি বলেন, এই দেশে সব ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দুদের মন্দিরে, খ্রিস্টানের গীর্জায় হামলা চলবে না।’
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫ টায় নারায়নগঞ্জ বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে আয়োজিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সর্বস্ব ত্যাগ স্বীকার করে এই ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। এক অদ্ভুত নির্বাচন হচ্ছে।
গতকাল নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, দেশে নাকি গণতন্ত্রের সু-বাতাস বইছে। এমনই সু-বাতাস যে, জনসভায় আসতে পারে না, মঞ্চ তৈরি করতে পারে না, মাইক লাগাতে দেয় না। চমৎকার নির্বাচন! কিন্তু এই নির্বাচনেই আমাদের জয়ী হতে হবে। সারা বাংলাদেশের মানুষ আমাদের সাথে আছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের প্রতিটি জায়গায় মানুষ জেগে উঠছে। যতোই মানুষ জেগে উঠছে ততই এই সরকার ভয় পেয়ে অত্যাচার নির্যাতন করছে।
মানুষ তখনই নির্যাতন, অত্যাচার করে যখন সে একা হয়ে যায়। এই সরকার এখন জনগণ বিচ্ছিন্ন একা হয়ে গেছে।’
জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার,।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান মনির, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী এসএম আকরাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, গণফোরামের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন চুন্নুসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীবৃন্দ।