

ইসমাঈল আযহার
পাকিস্তানের রাজধানী করাচি থেকে হাইতি পর্যন্ত তারাবি নামাজ আদায় করেছেন পাকিস্তানিরা। এভাবে পাকিস্তানের অনেক রাস্তায় তারাবি আদায় করে থাকেন দেশটির ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। পুরো রমজান জুড়েই পাকিস্তানিদের মধ্যে আলাদা একটা আমেজ দেখা যায়। রমজান মাসে একে অপরের সাহায্য, কুরআন তেলাওয়াত, তাসবিহ তাহলিল, অন্যকে ইফতার বা সাহরি খাওয়ানোসহ ভাল কাজের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এটা শুধু পাকিস্তানে নয় বিশ্বের সমস্ত মুসলিমরাই রমজান মাসে প্রভুর সান্নিধ্য লাভে মগ্ন হয়ে থাকে।
এই মাসে পাকিস্তানের দোকানিরা সবকিছুর মূল্য কমিয়ে দেন। এগারো মাস ব্যবসা এবং একটা মাস তারা খেদমত করতে চান রোজাদারদের। এ কাজের জন্য প্রভুর কাছে সাওয়াব ও গুনাহ মাফের আশা করেন দোকানিরা।
রমজান মাসে পৃথিবী জুড়ে মুসলিমরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাবার, পানীয় ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকে। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১.৮ বিলিয়ন মুসলমান রোজা পালন করে থাকেন এবং এটি তাদের জন্য পবিত্রতম মাস।
কষ্ট সত্ত্বেও এটি বহু মুসলমানের জন্য বছরের সবচেয়ে প্রত্যাশিত অংশ। পরিবার একতা এবং ধর্মীয় ভক্তি, রুটিন থেকে বিরতি একটি সময়।
শুধু পাকিস্তান নয়, মুসলিম বিশ্ব জুড়ে মসজিদে মসজিদে, স্বেচ্ছাসেবকরা সম্প্রদায়ের জন্য বিনামূল্যে সন্ধ্যায় খাবার পরিবেশন করে। যারা এটা সামর্থ্য দিতে পারে, ইফতারের জন্য প্রচুর ডাইনিং প্রস্তুত করে। পাকিস্তানে বিশ্বজুড়ে কিভাবে মুসলমানরা পবিত্র মাসকে স্বাগত জানাচ্ছেন তার একটি আভাস।
ইফতারের আগে নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো হয়ে কুরআন তেলাওয়াত করছেন পাকিস্তানি মেয়েরা।
রমজানে পাকিস্তানের মোড়ে মোড়ে পাওয়া যায় বাহারি রকমের ইফতার।
ফজিলাত ও সাওয়াবের আশায় বাচ্চারাও রোজা পালন করে।
ইফতারের আগে জড়ো হয়ে বসে আছেন একদল মানুষ।
ইফতার করছেন রোজাদাররা।
পাকিস্তানের বিভিন্ন রাস্তায়ও তারাবি আদায় করে থাকেন এলাকাবাসী। সেখানে পাহারা দিয়ে থাকে দেশটির পুলিশ।
পাকিস্তানের রাজধানী করাচি থেকে হাইতি পর্যন্ত তারাবি নামাজ আদায় করে রমজানকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
এই মাসে পাকিস্তানের দোকানিরা সবকিছুর মূল্য কমিয়ে রাখেন। এগারো মাস ব্যবসা এবং একটা মাস তারা খেদমত ও সাওয়াবের আশায় এমনটি করেন।
সূত্র: ডন
আইএ/পাবলিক ভয়েস