অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে বাংলাদেশ ; আমীর, ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশিত: ১০:১৩ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৯

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় কমিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত


অনিশ্চিত এক গন্তব্যে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সরকারি আমলাদের নৈতিক অবক্ষয়ের মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ জনতাকে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি এখন নিত্যনৈমিত্তিক খবরে পরিণত হয়েছে। উন্নয়ন খাতে সম্প্রতি দুর্নীতির আধিক্য বিগত যেকোন সময়ের দুর্নীতিকে অতিক্রম করেছে। এ দুরাবস্থা চলমান থাকলে এদেশের ভবিষ্যত অন্ধকার।

আজ ১৮ রমজান শুক্রবার বিকাল ৩ টায় রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ শাংগ্রিলা-ইন রেস্টুরেন্ট-এ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, দেশের কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধানসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করছে বলে সরকার বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর দেশ হিসেবে পরিচিত করতে পারছে। কিন্তু সম্প্রতি কৃষকের ধানের মূল্য নিয়ে সরকারের টালবাহানা জাতিকে আশাহত করেছে। এই টালবাহানার মাধ্যমে কৃষকদেরকে ধান চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কৃষকরা ধান চাষ থেকে বিরত থাকলে তার মূল্য হয়তো সরকারে থাকা আমলাদের দিতে হবেনা, কিন্তু এর চড়া মূল্য দিতে হবে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে। ‘বাংলাদেশে অধিক ধান উৎপাদন এখন বিড়ম্বনা হয়ে দেখা দিয়েছে, দু-একজন ভাবাবেগ হয়ে ধান ক্ষেতে আগুন দিয়েছে’- কৃষকের কষ্টে অর্জিত ধান নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর এ ধরণের বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি নিজের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, সম্প্রতি রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরতদের থাকার জন্য ফ্লাটে আসবাবপত্র ক্রয় ও তা উঠানোর খরচের একটি খবর প্রচার হয়েছে। যা বিশ্বদরবারে আরেকবার বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান ঘোষনার দ্বার উন্মোচন করেছে। অথচ রূপপুরের দুর্র্নীতির খবর টাইমলাইনে থাকতেই জাপানি কোম্পানী মেঘনা-গোমতী দ্বিতীয় সেতু নির্মাণে বাজেট থেকে বেঁচে যাওয়া ৭৩৮ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত দিয়ে এদেশের দুর্নীতিবাজদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে নতুন বার্তা দিয়ে গেছেন। তাতেও যদি আমাদের হুস ফিরে না আসে তবে নিজেদের ধ্বংস পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কুরআন নাজিলের এই মাসে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আমাদের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এবং রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ার শপথ নিতে হবে। দেশকে সার্বিক দুরাবস্থা থেকে মুক্ত করতে আল্লাহভীরু নেতৃত্বের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ন্যাস্ত করতে হবে। দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এসব দুর্নীতিবাজ ও তাদের মদদদাতাদের প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতি আস্থা রাখতে দেশের সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, যুবনেতা কে.এম.আতিকুর রহমান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কে.এম. শরীয়াতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গনী, কলেজ সম্পাদক এম.এম শোয়াইব, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নুরুল বশর আজিজী, সদস্য মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, ইবরাহীম হুসাইন প্রমূখ।

এইচআরআর/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন