মুক্তিযুদ্ধে জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন : হানিফ

প্রকাশিত: ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০১৯

আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, দেশের মানুষ টানা তৃতীয়বারের মতো জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর তথা আ.লীগে আস্থা রেখেছেন। তারা আস্থা রেখেছেন বলে নৌকায় ভোট দিয়ে বিপুলভাবে বিজয়ী করে সরকার গঠনে সায় দিয়েছেন। এবার আ.লীগকে জনগণের সেই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে। জনগণের প্রতি আ.লীগ নেতাকর্মীদের জন আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে।

গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট নগরের রিকাবীবাজারে কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামে আ.লীগের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিনা সন্দেহ রয়েছে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন জিয়া। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে রক্ষা করেছেন। কিছু লোক বলে যাচ্ছে তিনি নাকি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। এরা ইতিহাস বিকৃতকারী। সময় এসেছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে এবং ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জামায়াত হচ্ছে পাকিস্তানের সৈনিক। তারা পাকিস্তানের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। ফলে রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বিল পাস হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের মতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তারা মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারা এও বলেছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নাকি ৩০ লাখ লোক শহীদ হননি। বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়া বলেছেন তখন নাকি মাত্র ৩ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

হানিফ আরও বলেন, এদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সব আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে আ.লীগ। কিন্তু বার বারই আ.লীগের অবদানকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে একটি মহল। এবার সেই সুযোগ নেই। এবার আ.লীগকে অতিশক্তিশালী, অপ্রতিদ্বন্দ্বী করার কাজ শুরু করছেন শেখ হাসিনা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেন, আগামী অক্টোবরে আ.লীগের জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনের আগে সারাদেশে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন তথা তৃণমূল পর্যায়ে আ.লীগকে সুসংগঠিত করার কাজ শুরু হয়েছে। তৃণমূল থেকে জেলা-উপজেলার সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে সংগঠিত করে জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করা হবে। এ সম্মেলনকে সফল করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আ.লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- আ.লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও মহানগর আ.লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রমুখ।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন