কিম-পুতিনের বৈঠকে দু’দেশের সুসম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি

প্রকাশিত: ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০১৯

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমবারের মতো তাদের মধ্যকার বৈঠকে পারস্পরিক সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর নগরী ভ্লাদিভস্তকের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরের রাস্কি দ্বীপে দুই নেতার এই বৈঠক হয়।

ক্রেমলিন বলেছে, দুই নেতা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করবেন এবং মিস্টার কিম যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর রুশ সহায়তা চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা কোনও সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় ।

কিন্তু রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে উদ্বোধনী বক্তব্যে রুশ ও উত্তর কোরীয় নেতা দু’দেশের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করেন ।

মিস্টার পুতিন বলেন, তিনি কোরিয়ান অঞ্চলে বিরাজমান উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চান।

“আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনার এই রাশিয়া সফরের ফলে কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি কিভাবে সমাধান করতে পারি, এবং চলমান প্রক্রিয়ায় রাশিয়া কিভাবে ইতিবাচক উপায়ে ভূমিকা রাখতে পারে তা ভালোভাবে অনুধাবনে আমাদের সাহায্য করবে।”

মিস্টার কিম বলেছেন, তিনি আশা করেন “দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকর বৈঠক হবে যাদের দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস রয়েছে”।

উত্তর কোরীয় নেতা বুধবার পৌঁছানোর পর তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের সাথে আন্তরিকভাবে সৌজন্য বিনিময় করেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকার সাথে পরমাণু আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর এই সফরকে উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তাদের যে শক্তিশালী বন্ধু রয়েছে সেটা তুলে ধরা সম্ভব হবে।

উত্তর কোরিয়া হ্যানয়ের আলোচনা ভেস্তে যাবার জন্য জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে দোষারোপ করেছে।

এই মাসের শুরুতে পিয়ংইয়ং এর পক্ষ থেকে মিস্টার পম্পেওকে “ফালতু বক্তব্যের” অভিযোগ তুলে তাকে আলোচনার বাইরে রাখার জন্য এবং তার জায়গায় “অধিকতর সচেষ্ট” কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

পিয়ংইয়ং এর অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ যে কেবল আমেরিকার ওপর নির্ভর করছে না- সেটি তুলে ধরারও একটি সুযোগ এই বৈঠক।

আইএ/পাবলিক ভয়েস

 

মন্তব্য করুন