

এম ওমর ফারুক আজাদ:
কওমি মাদরাসাগুলো মাওলানা কাসেম নানুতুবীর আমানত, যারা এ আমানতের খেয়ানত করেছে কিয়ামতের দিন মাওলানা নানুতুবীর কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের প্রাক্তন নায়েবে আমির ও জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসার পরিচালক দেশের অন্যতম শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা মুহিব্বুলাহ বাবুনগরী।
গতকাল শনিবার বাবুনগর মাদরাসার জামে মসজিদে বিদায়ী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি দারুল উলুম দেওবন্দে পাঁচ বছর পড়ালেখা করেছি আমি যখন প্রতিদিন পরিক্ষাকেন্দ্রে এসে বসি আমার মনে হয় আমি দারুল উলুম দেওবন্দের পরিক্ষাকেন্দ্রে বসে আছি।
সম্প্রতি বেফাকের প্রশ্ন ফাঁসের প্রেক্ষিতে পরিক্ষা স্থগিত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তোমরাই দ্বীনের মুজাহিদ। তোমরাই আল্লামা কাসেম নানুতবীর আদর্শ লালন করছো। সারাদেশে যখন দাওরায়ে হাদিসের পরিক্ষা স্হগিত করে দেওয়া হয়েছে তখন তোমরা নিশ্চিন্তে পরিক্ষা দিয়েছো।
এছাড়াও কওমি মাদরাসা নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্রের নতুন জাল বিছিয়েছে এমনটা দাবি করে তিনি বলেন, দুশমন যখন দুশমনি করতে করতে অক্ষম হয়ে যায় তখন দুশমন বন্ধুর পোশাক পরিধান করে। ঠিক তেমনিভাবে সরকার যখন কওমি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে করতে অক্ষম হয়ে গেছে এখন বন্ধুর রুপ ধারণ করেছে। বন্ধুর রুপ ধারণ করে বলছে “স্বাধীনতার অগ্রনায়ক হলেন ওলামায়ে দেওবন্দ”।এখন দুশমন বন্ধুর রুপ ধারণ করে আমাদের কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটাও একটা যড়যন্ত্র।
তিনি আরও বলেন এই মাদ্রাসাগুলি আমাদের হাতে আল্লামা কাসেম নানুতবী আমানত হিসেবে রেখে গেছেন। যারা আমানতের খেয়ানত করেছে কাল হাশরের ময়দানে আল্লামা কাসেম নানুতবীর কাছে তাদের জবাব দিতে হবে।
উল্লেখ্যঃ কয়েক মাস পূর্বে কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতিদানের মাধ্যমে এর স্বকীয়তা বিনষ্টের অভিযোগ তোলে বেফাক কিংবা হাইয়্যাতুল উলইয়ার অধীনে কোন পরিক্ষায় জামিয়া বাবুনগরের অংশগ্রণ না করার সিদ্ধান্তের কথা মিডিয়াকে জানিয়েছেন মুহিব্বুলাহ বাবুনগরী।