

মাহদী হাসান রিয়াদ
আমি থেমে যায়নি, অলসতার খপ্পরে ঘায়েল হয়নি কভু! জীবিকার তাগিদে; দৈনন্দিন ছুটে চলছি পিচঢালা এই পথে। এই একটি হাতের মধ্যে লুকিয়ে আছে বেঁচে থাকার ট্যাবলেট! সন্তানের মুখে হাসি ফুটানোর মন্ত্র! সংসারে সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনার মূল মাধ্যম হচ্ছে কেবল আমার হাতটি! পুরো সংসার দিব্যি চলছে কেবল এই একটি হাতের উপর ভরসা করে। ঝড়ঝাপটাকে তোয়াক্কা না করেই, হরদমে খুঁজছি আমি সন্তানের অদূর ভবিষ্যত!পুরো শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, তবুও ঝিমনি আসে না’ একখানা হাত আর পা-গুলোতে।
অবিরত রিকশার পেডেল নেড়েই যাচ্ছি! এই পেডেলের উপর ভর দিয়েই তো আমার সন্তানদের জীবন রাঙানোর চেষ্টা করছি। আমার ঘামে ভেজা নোনা টাকা কখনোই বিফলে যেতে পারে না! নিশ্চয়ই একদিন বাকিসব শিক্ষিত বাবার সন্তানদের মতো, আমি মূর্খের সন্তানরা ও জ্ঞানী হয়ে আত্ম প্রকাশ করবে। জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাবে, উন্মুক্ত ভাবে কিরণ ছড়িয়ে দিবে এই ভূুবনে! মুছে দিবে সমাজের ধুলাবালি।
আমার মতো অসহায় পিতাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। গরীবের কষ্টে কাতর হয়ে,দামী গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে অশিক্ষিত-মূর্খ গুলোকে নির্দ্বিধায় বুকে জড়িয়ে নিবে। আপন করে নিবে সহজেই। এমন একজন ছেলের বাবা- হওয়ার জন্য, ‘থমকে যাওয়া’ বাক্যটিকে আমার অভিধান থেকে মুছে দিয়েছি। সকলের চোখে রিকশা চালক হলেও,আমার ছেলের চোখে কিন্তু হিরো হয়েই থাকবো আজীবন।