

সাফা কবিরের পক্ষ নিয়ে পবিত্র কোরআন ও মক্কা-মদীনা নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া ভাইরালম্যান সেফুদা একদিনের ব্যবধানে ভোল পাল্টিয়ে এবার মাদরাসা ও ধর্মের পক্ষে আরেকটি ভিডিও লাইভ করেছেন। আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার লাইভটি করেন বলে জানা যায়।
এর আগে ১৭ ইসলাম অবমাননার সেই লাইভের পর থেকে__সিফাত উল্লাহ সেফুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। তার ফাঁসির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনও করা হয়। ফাঁসির দাবি করেন আরও অনেকে। শেষ পর্যন্ত তোপের মুখে পড়ে ফের লাইভে এসে ধর্মীয় কথা বলে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বলে অনেকের মন্তব্য।
ভিডিও লাইভে তাকে বলতে দেখা যায়— আমি আজমীর শরীফের খাদেম ছিলাম। আমার বাড়ির পাশে কবরস্থান। সেখানে মাদরাসা করব। আমার বাবাও তার বাড়ি দান করে গেছেন কওমী মাদরাসা করার জন্য। কিন্তু আমার ভাইরা কেউ দেশে নেই__তাই দেখাশোনা করার লোক না থাকায় করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে কলুষিত করবেন না। আপনারা আসুন কোরআন পড়ুন; হাদিস পড়ুন। ধর্মের ভালো দিকগুলো গ্রহণ করুন। ধর্মের সুশীতল ছায়াতলে আসুন। আমি প্রেমধর্মের ছায়াতলে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। নিজের নামাজের পাটি দেখিয়ে সিফাত উল্লাহ বলেন— আমি কিন্তু নামাজ পড়ি, মসজিদে যাই, আমি এটা লোক দেখানোর জন্য করি না। আমি জিকির করি। কোরআন তেলাওয়াত করি।
পবিত্র কোরআনের অবমাননা বিষয়ে তিনি বলেন; ওটা কোরআন শরীফ ছিল না। ওটাতে উর্দূ ও ফার্সী ভাষা ছিল। আফগানিস্তানের একজন কবি সে আমাকে এটা উপহার দিয়েছিল দশ-বারো বছর আগে। ওটা দেখতে কোরআন শরীফের মতো দেখায়। এসময় সিফাত উল্লাহ নিজেকে সুন্নি দাবি করেন এবং মাথায় সবুজ একটি টুপি দেখিয়ে বলেন— আমি সুন্নি, আমি সবুজ টুপি পড়ি। নবীজির সুন্নত হলো সবুজ টুপি পড়া।
নিজের পরিবারের সবাইকেও সুন্নি দাবি করেন সিফাত উল্লাহ। তিনি বলেন, আমার জেঠা হযরত মাওলানা নুরুল হক পাকিস্তান আমলে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের সেক্রেটারী ছিলেন। অনেক কিতাবও লিখেছেন তিনি।
এসময় নিজের পিতার ব্যাপারে সিফাত উল্লাহ বলেন, আমার পিতা ছিলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মসজিদের ইমাম। তার পিতা আরবের মানুষ ও আবু বকরের বংশধর বলেও দাবি করেন সিফাত।
আগত শবে বরাত উপলক্ষ্যেও তিনি বক্তব্য রাখেন ঐ ভিডিওতে। তিনি বলেন, আর মাত্র ৩ দিন পর শবে বরাত। শবে বরাতে নামাজ পড়ার জন্য সবাইকে তৈরি হতে হবে এবং সাধারণ মানুষকে কমপক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। পারলে পাঁচ ওয়াক্তের বেশি পড়বেন। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বেন, সুন্নত পড়বেন। তিনি আরও বলেন, আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি এবং তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ি। লাইভের শেষে সেফু বলেন— ঈমান ঠিক করুন। ধর্মের সাথে রাজনীতি মিলাবেন না। এক হাতে দান করুন।
এর আগে ১৭ এপ্রিল বুধবার সাফা কবিরের পরকাল নিয়ে করা “আমি যা দেখি না তা বিশ্বাস করি না” মন্তব্যের সূত্র ধরে লাইভে আসে গালিবাজ সেফু। সাফা কবিরকে সাহসী আখ্যা দিয়ে ধন্যবাদ জানায় সে এবং সাফা কবির যা বলেছে তা সঠিক বলে মন্তব্য করে সে। লাইভের এক পর্যায়ে মুসলমানদের গালিগালাজ শুরু করে এবং পবিত্র কোরআন হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা ছিড়ে বাথরুমের কমোডে ফেলে দেয়।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস