

শবে বরাতের ফযিলত যেমনভাবে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, এমনভাবে উম্মতের বরেণ্য ইমামগণ এ রাতের মর্যাদাকে স্বীকার করেছেন। আমরা সহীহ হাদিস দ্বারা এ রাতের মর্যাদা প্রমাণ করেছি। এখন কয়েকজন ইমামের বক্তব্য উল্লেখ করছি।
– শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
وأما ليلة النصف من شعبان ففيها فضل وكان في السلف من يصلي فيها لكن الاجتماع فيها لإحيائها في المساجد بدعة وكذلك الصلاة الألفية
অর্থাৎ শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতের ফযীলত রয়েছে। সালাফের অনেকেই এ রাতে নামায পড়েছেন। কিন্তু সম্মিলিতভাবে মসজিদে সে রাত জাগা বেদয়াত। এমনভাবে জামাতে নামায পড়াও বেদয়াত।( আল ফাতাওয়াল কুবরা, ইবনে তাইমিয়া ১/৩০১)
১.ইবনে তাইমিয়া রহ. (মৃত্যু ৭২৭হি.) আরো বলেন,
ومن هذا الباب ليلة النصف من شعبان فقد روى في فضلها من الأحاديث المرفوعة والآثار ما يقتضي أنها ليلة مفضلة وأن من ……
অর্থাৎ শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতের ফযীলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস এবং আরো অনেক আছার বর্ণিত হয়েছে। যেগুলো দ্বারা এ রাতের ফযীলত প্রমাণিত হয়। সালাফের অেেনকেই এ রাতে বিশেষ করে নামায পড়তেন। শাবান মাসের রোযা সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস এসেছে। সালাফদের থেকে মদীনার অনেক উলামায়ে কেরাম এবং পরবর্তী কেউ কেউ শবে বরাতের ফযীলতকে অস্বীকার করেছেন এবং এ সংক্রান্ত হাদীসগুলোর ব্যাপারে আপত্তি করেছেন। বিশেষত বনু কালব গোত্রের বকরীর পশম পরিমাণ লোক ক্ষমা করে দেয়ার হাদীস।
কিন্তু অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম এবং আমাদের অনুসৃতদের মত হলো: এ রাতের ফযীলত রয়েছে। ইমাম আহমদ রহ. এর নস এ কথার দালালাত করে। কেননা এ রাতের ফযীলত বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্নভাবে এসেছে। সালাফ থেকে বর্ণিত আছার সেগুলোর সত্যায়ন করে। ‘মুসনাদ’ এবং ‘সুনান’ এর কিতাবাদিতে এ রাতের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। যদিও এ রাতের ফযীলত সম্পর্কে কিছু বর্ণনা জাল করা হয়েছে।( ইকতিযাউস সিরাতিল মুসতাকীম, ১/৩০২)
ইবনে তাইমিয়া রহ. এর বক্তব্য থেকে দুটি বিষয় স্পষ্ট হলো।
প্রথমত শবে বরাতের ফযীলত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং আমাদের যে সমস্ত ভাইয়েরা বলে থাকেন যে, সহীহ হাদীস দ্বারা শবে বরাতের ফযীলত প্রমাণিত নয়, ইবনে তাইমিয়া রহ. এর বক্তব্য অনুসারে তাদের কথা সঠিক নয়।
দ্বিতীয়ত: সালাফের অনেকেই সে মর্যাদাপূর্ণ রাতে একাকী নামায পড়েছেন। তবে সম্মিলিতভাবে মসজিদে এক সাথে নামায আদায় করা বেদয়াত। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবাদের থেকে সম্মিলিতভাবে এমন আমল প্রমাণিত নয়। এজন্য আমাদের দেশে যারা মুতলাকভাবে বলে দেন যে, এ রাতে বিশেষ কোনো আমল নেই, ইবনে তাইমিয়া রহ. এর বক্তব্য অনুসারে তাদের কথাও সঠিক নয়। কেননা সালাফরা এ রাতে একাকী নামায পড়েছেন।
২. ইমাম ইবনে আমীর আল হাজ আসসানআনী মালেকী রহ. (মৃত্যু ৭৩৭ হি.) বলেন,
وَبِالْجُمْلَةِ فَهَذِهِ اللَّيْلَةُ ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَلَهَا فَضْلٌ عَظِيمٌ وَخَيْرٌ جَسِيمٌ وَكَانَ السَّلَفُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ يُعَظِّمُونَهَا وَيُشَمِّرُونَ لَهَا قَبْلَ إتْيَانِهَا فَمَا تَأْتِيهِمْ إلَّا وَهُمْ مُتَأَهِّبُونَ لِلِقَائِهَا ، وَالْقِيَامُ بِحُرْمَتِهَا عَلَى مَا قَدْ عُلِمَ مِنْ احْتِرَامِهِمْ لِلشَّعَائِرِ عَلَى مَا تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ هَذَا هُوَ التَّعْظِيمُ الشَّرْعِيُّ لِهَذِهِ اللَّيْلَةِ ، ثُمَّ جَاءَ بَعْضُ هَؤُلَاءِ فَعَكَسُوا الْحَالَ كَمَا جَرَى مِنْهُمْ فِي غَيْرِهَا
অর্থাৎ শবে-বরাতের মর্যাদা যদিও শবে কদরের মত নয়, কিন্তু তারপরও সে রাতের অনেক মর্যাদা এবং কল্যাণ রয়েছে। সালাফরা এ রাতকে গুরুত্ব দিতেন এবং এ রাত আসার আগে অপেক্ষা করতেন। এ রাত আসলে তারা পুরো রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করতেন। এ রাতের বিশেষ ফযীলতের কারণে। এর পর কিছু লোক আসলো এর বিপরীত। তারা পূর্বের অবস্থাকে পাল্টিয়ে দিলো।(. আল মাদখাল, ১/২৯৯)
৩. হাফেয ইবনুল কায়্যিম রহ. (মৃত্যু ৭৫১হি.) বলেন,
সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, অনুসৃত ইমামগণ সহ সালাফের আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের সকল ইমামগণের কাল বেয়ে আমাদের জামানা পর্যন্ত সকলের সহীহ এবং স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, আল্লাহর যাত এবং সিফাত সম্পর্কিত সকল আয়াত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল সত্য সংবাদ, তার সিফাত সংক্রান্ত সে সব বর্ণনা যেগুলোকে শাস্ত্রবিদগণ সহীহ বলেছেন এবং গ্রহণ করেছেন। প্রত্যেক মুসলমানের উপর সেগুলোর উপর ঈমান আনা ওয়াজিব।
এরপর আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন,
وجميع ما لفظ به المصطفى صلى الله عليه وسلم، من صفاته كغرسه جنته الفردوس بيده وشجرة طوبى بيده، وخط التوراة بيده والضحك والتعجب ووضعه القدم على النار فتقول قط قط. وذكر الأصابع والنزول كل ليلة إلى سماء الدنيا، وليلة الجمعة وليلة النصف من شعبان وليلة القدر.
এরপর তিনি কোনো কোন বিষয়ের উপর ঈমান আনতে হবে, এ আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন, সবগুলোর উপর ঈমান আনতে হবে।
এরপর তালিকায় বলেন, প্রত্যেক রাতে আল্লাহ তায়ালা আসমানে অবতরণ। জুমার রাতের ফযীলত। দুই ঈদের রাতের ফযীলত। শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতের ফযীলত এবং শবে কদরের ফযীলতের উপর ঈমান আনতে হবে। .( ইজতিমাউল জুয়ূশিল ইসলামিয়া, পৃষ্ঠা নং, ৭৫-৭৬)
ইবনুল কায়্যিম রহ. হলেন ইবনে তাইমিয়া রহ. এর হাতেগড়া শিষ্য। আমাদের যে সমস্ত ভায়েরা বলে থাকেন যে, শবে বরাতের ফযীলত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহভাবে প্রমাণিত নয়, তারা ইবনে তাইমিয়া এর মত ইবনুল কায়্যিম রহ. দ্বারাও বেশ কিছু মাসআলায় দলীল পেশ করেন। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম যে, ইবনুল কায়্যিম রহ. শবে বরাতের ফযীলতের উপর প্রত্যেক মুসলামানের ঈমান আনার কথা বলেছেন।
৪. আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি রহ. (মৃত্যু:৭৯৫) বলেন,
وأما صيام يوم النصف منه فغير منهي عنه، فإنه من جملة أيام البيض الغر المندوب إلى صيامها من كل شهر. وقد ورد الأمر بصيامه من شعبان بخصوصه، ففي سنن ابن ماجه بإسناد ضعيف …….
অর্থাৎ শাবান মাসের পনের তারিখ রোযা রাখতে সমস্যা নেই। কেননা পনের তারিখ হলো ‘আইয়্যামে বীয’ এর অন্তর্ভূক্ত। প্রত্যেক মাসের সে তারিখে রোযা রাখা সুন্নাত। এছাড়া বিশেষ করে শাবান মাসে রোযা রাখার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুর্বল সনদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এরপর তিনি শবে বরাতে রাত্রি জাগা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, কেউ কেউ নামাজ, কিসসা, কাহিনী বর্ণনা এবং দোয়ার জন্য মসজিদে একত্রিত হওয়াকে মাকরুহ বলেছেন। তবে সে রাতে একাকী নামায পড়া মাকরুহ নয়। এমনটা হলো শামের ইমাম আওযায়ী এবং শামের অন্যান্য ফকীহ এবং আলেমদের মত। আমার মতে এ মত হলো বিশুদ্ধতার অধিক নিকটবর্তী।
এরপর এ রাতের ফযীলত সংক্রান্ত হাদীসগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করার পর লিখেন: মুমিনদের জন্য উচিৎ হলো, সে রাতে বেশি করে আল্লাহর জিকির করা। নিজের গোনাহের জন্য ক্ষমা চেয়ে , নিজের দোষ-ত্রæটি গোপন রাখার জন্য, বিপদে রাস্তা দেখানোর জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা। তবে এগুলোর আগে তাওবা করা। কেননা এ রাতে তওবাকারীর তওবাকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন।( লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা নং, ১৮৮-১৯০, দারুল হাদীস কাহেরা)
৫. আল্লামা আবদুল হাই লাখনোভী রহ. ( মৃত্যু:১৩০৪ হি.) বলেন,
শবে বরাতের ফযীলত সংক্রান্ত আরো হাদীস রয়েছে। যেগুলো ইমাম বায়হাকী সহ আরো অনেকে তাখরীজ করেছেন। ইবনে হাজার মাক্কী ‘আল ঈজাহ ওয়াল বায়ান’ নামক কিতাবে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। যেগুলো দ্বারা বুঝা যায় যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে রাতে বেশি করে ইবাদত করতেন। দোয়া করতেন। কবর জিয়ারত করতেন। মায়্যিতের জন্য দোয়া করতেন। এ সমস্ত হাদীস দ্বারা এ রাতে বেশি ইবাদত করা মুস্তাহাব প্রমাণিত হয়।
ইবাদতের ক্ষেত্রে মানুষ ইচ্ছা স্বাধীন। চাইলে নামায পড়তে পারে। আবার অন্য ইবাদত ও করতে পারে। যদি নামায পড়ে, তাহলে রাকাত সংখ্যা এবং পদ্ধতি তার নিজের ইচ্ছাধীন। তবে স্পষ্ট বা ইশারাগতভাবে শরীয়তে নিষিদ্ধ কোনো বিষয় নামাযে যোগ করতে পারবে না। অন্যথায় সে নামায জায়েয হবেনা। (আল আছারুল মারফুআ, পৃষ্ঠা নং ৬৭)
৬. ইমামুল আসর আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী রহ. (১৩৫২ হি.) বলেন,
এই রাত হলো বারাআত এর রাত্রি। এছাড়া শবে বরাতের ফযীলত সংক্রান্ত সহীহ হাদীস রয়েছে। এছাড়া কিতাবাদিতে যয়ীফ এবং মুনকার বর্ণনা উল্লেখিত হয়েছে, যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।( আল উরফুশ শাযী, তিরমিযীর সাথে সংযুক্ত, ১/১৫২)
৭. মাওলানা আবদুর রহমান মুবারকপুরী রহ. (১৩৫৩ হি.) বলেন,
اعلم أنه قد ورد في فضيلة ليلة النصف من شعبان عدة أحاديث مجموعها يدل على أن لها أصلاً،
অর্থাৎ শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতের ফযীলত সম্পর্কে অনেকগুলো হাদীস বর্নিত হয়েছে। যেগুলোর সমষ্টি দ্বারা বুঝা যায় যে, এ রাতের ফযীলতের ভিত্তি রয়েছে। ( তুহফাতুল আহওয়ায়ী, ৩/১৬১)
৮. শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী রহ. (১৪২০হি.) বলেন,
শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির দিকে রহমতের দিকে তাকানো সংক্রান্ত হাদীস সহীহ। সাহাবাদের একটি জামাত থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। একজনের বর্ণনা অপরজনের বর্ণনাকে শক্তিশালী করে।
এরপর সবগুলো হাদীস নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর বলেন, সবগুলো সনদ হিসাবে হাদীসটি সন্দেহাতীতভাবে সহীহ। এরচেয়ে কম সংখ্যায় হাদীস বর্ণিত হলে সেটা সহীহ হয়। যতক্ষণ হাদীসটি বেশি দুর্বল না হয়। এজন্য শায়খ কাসেমী রহ. ‘ইসলাহুল মাসাজিদ’ এ যে কথা বর্ণনা করেছেন: “ শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে কোনো সহীহ হাদীস নেই” সেটা কথা গ্রহণযোগ্য নয়। যদি কেউ এমনটা বলে থাকেন, সেটা বলবেন তার কম মেহনত এবং তাড়াহুড়ার কারণে। (সিলসিলাতুল আহাদিসিস সাহীহা, হাদীস নং ১১৪৪)
আমাদের দেশে যারা বলে বেড়াচ্ছেন যে, শবে বরাতের ফযীলত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়, মাওলানা আবদুর রহমান মুবারকপুরী এবং শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী তাদের মাথার তাজ। তারা দুইজন স্পষ্ট স্বীকার করেছেন যে, শবে বরাতের ফযীলত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত! আশা করি তারা সঠিক বিষয়টি অনুধাবন করবেন।
এখানে বিভিন্ন মাযহাবের এবং বিভিন্ন মতাদর্শের আলেমদের বক্তব্য তুলে ধরলাম। তারা সকলেই শবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে যাকে আমরা শবে বরাত বলে থাকি, এর ফযীলতের কথা স্বীকার করেছেন। সকলেই বলেছেন যে, এ রাতে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান। এজন্য মানুষ রাত জেগে একাকী নিভৃতে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করবে। তওবা করবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাকী সে রাতে ইবাদত করেছেন, এটাও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এছাড়া যুগ যুগ ধরে সমস্ত উম্মত সে রাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এজন্য এ রাতের ফযীলত থাকা সর্বজনস্বীকৃত বিষয়। এ রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করার অর্থ হলো- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত অনেকগুলো সহীহ হাদীস অস্বীকার করা। যদিও শবে বরাত উপলক্ষে অনেক রুসম এবং বানোয়াট আমল আমাদের সমাজে প্রসিদ্ধ, সেগুলোকে অস্বীকার করা যেতে পারে। সেগুলো সম্পর্কে জনসাধারণকে সতর্ক করা যেতে পারে! কিন্তু সাধারণভাবে শবে বরাতের ফযীলতকে অস্বীকার করা কোনোভাবে সম্ভব নয়। কারণ এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনেকগুলো সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমীন।
বিঃদ্রঃ (ইসলাম বিভাগে লিখিত মতনৈক্যপূর্ণ মাসয়ালা ইসলামী স্কলারদের বর্ণিত। এসব লেখা সম্পাদনা পরিষদ সম্পাদনা করেন না)