

নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া ছাত্রী সন্দেহে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সোনাগাজি ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে আটক করা।
আটক ওই ছাত্রীর নাম কামরুন নাহার মনি। তিনি নুসরাতের সহপাঠি ও ওই মাদ্রাসা থেকে আলিম পরিক্ষার্থী। ফেনী পিবিআইর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া ছাত্রী সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এই মামলার অন্যতম প্রধান আসামি নূরউদ্দিন রোববার রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মনির বিষয়ে তথ্য দেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী উম্মে সুলতানা পপি নুসরাতকে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। ওই সময় ছাদে কামরুন নাহার মণি ছিল। নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
মামলার এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. শামীম। তবে হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজহারভুক্ত আরও এক আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পিবিআই।
গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় মুখোশ পরা চার-পাঁচজন নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। অস্বীকৃতি জানালে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। গত ১০ এপ্রিল বুধবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।
আইএ/পাবলিক ভয়েস