

বেফাকের ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার শুরুর থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীর হাতেই পৌঁছেছে প্রশ্নপত্র।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় মেশকাত জামাতের হেদায়া ৪র্থ খণ্ডের পরীক্ষা। এ পরীক্ষার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে প্রশ্নপত্র। এই প্রথম বেফাকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর পাওয়া গেলো। এর আগে কখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে বেফাকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী দুঃখ প্রকাশ করছেন। সারাবছর তারা পরিশ্রম করে পড়াশোনা করেন। আজ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কিনে কতিপয় ছাত্র বেফাকের মেধাবী তালিকায় উত্তীর্ণ হবে, তাহলে তাদের সারাবছরের পরিশ্রমের কী মূল্য থাকল?’
এ ব্যাপারে বেফাকের কর্তৃপক্ষ বলছে, একটি বিশেষ মহল দেশের সর্ববৃহৎ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কাছেও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ এসেছে।
এ বিষয়ে বেফাকের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরাও কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ” প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
৮ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) এর ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এবার সারাদেশে ২৯টি জোনের মাধ্যমে এক হাজার ৪৮২টি কেন্দ্রে, এক লাখ ৫২ হাজার ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণে বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস