পাইপবালকের ৫ হাজার ডলার ও একজন সাংবাদিক মানিকের নেপথ্য গল্প

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০১৯

বনানীর অগ্নিকাণ্ডে পানির পাইপের ছিদ্রে পলিথিন ধরে আলোচিত শিশু নাঈমের সঠিক বক্তব্য তুলে ধরে ভাইরাল হয়েছেন ইউনেস্কো ক্লাব পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন মানিক। অনলাইন গণমাধ্যম চেঞ্জ টিভি.প্রেস এর জন্য নেয়া তার সাক্ষাৎকারের কারণেই প্রত্যাহার হওয়া ৫ হাজার ডলার পুনরায় দিতে সম্মত হন প্রবাসী ওমর ফারুক সামি।

অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সাক্ষাৎকারের পর আপনি আবার কেন নাঈমের সাক্ষাৎকার নিতে গেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন মানিক গণমাধ্যমকে বলেন, জয়ের সাক্ষাৎকারে নাঈম বলেছিল-


সে পুরস্কারের টাকা এতিমখানায় দিয়ে দেবে এবং সেটা বেগম খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা চুরি করার কারণে। এ বক্তব্যের কারণে পুরস্কারের টাকা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন প্রবাসী ওমর ফারুক সামি। খবরটি আমাকে খুব কষ্ট দেয়। যেখানে ৫ হাজার ডলার পেলে শিশুটির শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন হতো, কিন্তু একটা বক্তব্যের কারণে নাঈম আর টাকাটা পাবে না, এটাই আমার মধ্যে মর্মপীড়া তৈরি করে। এ কারণেই আমি কড়াইল বস্তিতে নাঈমের বাসায় যাই। আমি বাসায় উপস্থিত হওয়ার পরপরই নাঈমের মা এবং মামা আক্ষেপ করে বলেন, শাহরিয়ার নাজিম জয় আমাদের সব শেষ করে দিয়েছেন।


তিনি আরও বলেন আমি যখন সাক্ষাৎকারটি নেই, তখন সেখানে ওই এলাকার ৩০-৪০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। নাঈম অকপটেই আমাকে জানায় যে, এতিমখানায় টাকা দেওয়ার বিষয়টি আসলে তাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সে মন থেকে বলেনি। এরপর কে শিখিয়ে দিয়েছে প্রশ্ন করলে, সে একজনের নাম বলে এবং তার শাস্তি দাবি করে। নাঈমের মাও জানান, শাহরিয়ার নাজিম জয়ের অনুষ্ঠানে তাকে না জানিয়ে নাঈমকে নিয়ে যাওয়া হয়। এটাকে তিনি হাইজ্যাকের সঙ্গেও তুলনা করেন। পরবর্তীতে আমি অনলাইনভিত্তিক টিভি চ্যানেল চেঞ্জ টিভিকে ওই ব্যক্তির নাম এবং অনুষ্ঠানে নাঈমকে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি বাদ দিয়ে রিপোর্ট প্রচার করি। এক্ষেত্রে, সেলফ সেন্সর করি এই জন্য যে, যেহেতু সত্য উদ্ঘাটিত হয়ে গেছে, সুতরাং নাম প্রচার করলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

মন্তব্য করুন