সুন্দরবনে আগ্নি-সন্ত্রাস ঠেকাতে দাহ্য পদার্থ বহনে বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৯

সুন্দরবনে আগুন সন্ত্রাস ঠেকাতে সব ধরনের দাহ্য পদার্থ বহন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ। আগুন সন্ত্রাসের চরম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বন সন্নিহিত এলাকায় আজ সারাদিন মাইকিং ও জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের মাঝে প্রচারণা চালিয়েছে বন বিভাগ।

সেই সঙ্গে লোকালয়ে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত সতর্কীকরণ গণবিজ্ঞপ্তি। ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড (বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা) এই বনে জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালসহ ইকোটুরিস্টরা সঙ্গে কোনও ধরনের দাহ্য পদার্থ যাতে বহন করতে না পারে সেজন্য বনরক্ষীরা তল্লাশি শুরু করেছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নজরদারি।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে সুন্দরবন বিভাগ।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনে আগুন লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এক শ্রেণির জেলে ও বনজীবীরা চোরাই পথে শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বনের মধ্যে ঢুকে রাতের আধারে ছোট-ছোট বিলের মিঠা পানির মাছ ও মধু আহরণ করতে প্রায় প্রতি বছরই পরিকল্পিতভাবে সুন্দরবনে আগুন লাগিয়ে দেয়।

সুন্দরবনের গুলিশাখালী, কলমতেজী, কাটাখালী,  নাংলী,  বরুইতলা, বৈদ্যমারী, জিউধরা ও আমুরবুনিয়া খুবই স্পর্শকাতর এলাকা।

শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বন সন্নিহিত এসব এলাকার পাশে রয়েছে লোকালয়। এসব লোকালয়ে শত শত মানুষ বনজীবী। তাই সুন্দরবনে আগুন সন্ত্রাস ঠেকাতে সব ধরনের দাহ্য পদার্থ বহন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের পাশাপাশি বন সন্নিহিত এসব লোকালয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

আজ সারাদিন মাইকিং ও জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের মাঝে প্রচারণা চালানো হয়েছে। অনুমতিপত্র নিয়ে সুন্দরবনে ঢোকা জেলে, বাওয়ালী, মৌয়াল ও ইকোটুরিস্টরা সঙ্গে করে বিড়ি-সিগারেট, মেচ-লাইটার ও মশালসহ কোনও ধরনের দাহ্য পদার্থ যে না থাকে সেজন্য বনরক্ষীরা তল্লাশি শুরু করেছে।

আইএ

মন্তব্য করুন