তাহসিনেশনের ১০ হাজার ডলার আহত-নিহতদের দিলে আমরাও গর্বিত হবো: সুপারম্যান জসিম

প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০১৯

আমরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি এটাতেই আমরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি

মাহসান স্বপ্ন এর উপস্থাপনায় সম্প্রতি মজার টিভি নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ইন্টারভিউতে উপস্থিত হন সুপারম্যান জসিম উদ্দিন এবং তার বন্ধু লুকমান আহমদ। ওই ইন্টারভিউতে মাহসান স্বপ্ন তাদেরকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন।

বলেন, আপনারা এত বড় একটি মহৎ কাজ করেছেন কিন্তু মিডিয়ার আড়ালে এর কারণ কি? চাইলে তো মিডিয়ার সামনে আসতে পারতেন।

উত্তরে জসিম বলেন, আমাকে তো চিনছেন আর লুকমান হল আমার বন্ধু। আসলে মূলত আমরা হাইলাইট হতে চাইনি এবং মিডিয়ার সামনেও আসতে চাইনি। আর এরকম ইচ্ছেও ছিল না । আমরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি এটাতেই আমরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি।

আপনারা এত বড় একটি মহৎ কাজ করেছেন এর বদলে কেউ কোনো সংবর্ধনা বা কোনো ক্রেডিট দিয়েছে আপনাদের? এমন প্রশ্নের উত্তরে সুপারম্যান জসিম বলেন, হ্যাঁ দিয়েছে, তবে যেটা দিয়েছে সেটা পৃথিবীর কেউ দিতে পারবে না। মানুষ যে ভালোবাসা ও দোয়া দিয়েছে আমাদের, মানুষের যে ভালোবাসামাখা কথাগুলো শুনেছি আমার; এটাই আমাদের অমুল্য পাওয়া।

বাংলাদেশের একজন ইউটিউবার; তাহসিনেশন আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তার সকল ফ্যান ফলোয়ারদের নিয়ে ১০ হাজার ডলার ডুনেট করে আপনাদের পুরস্কার দেওয়ার একটি উদ্যোগ নিচ্ছে। এটা কি আপনারা শুনেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে সুপারম্যান জসিম বলেন,  এটা আমরা শুনিনাই, আপনাদের কাছ থেক প্রথম শুনলাম।


যদি তিনি এই দশ হাজার ডলার আপনাদেরকে পুরস্কার হিসেবে দেয় তাহলে কি আপনারা গ্রহণ করবেন? এর উত্তরে জসিম বলেন, পুরস্কারটা আপনারা আমাকে এবং আমার বন্ধুকে না দিয়ে যারা আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে; আমি শুনেছি- একটা ছেলে নিহত হয়েছে। সে একটি অফিসের পিওন ছিল। তার বেতনটা দিয়ে নাকি তার পরিবার চলত। আমি মনে করি, ওই টাকাটা ওদের মত কিছু লোক এবং যারা আহত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে তাদেরকে সহযোগিতা করলে আমরাও গর্বিত হব।


উল্লেখ্য যে, গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারের চারিদিকে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে, ভেতরে আটকে পড়া মানুষগুলো যখন বাঁচার তাগিদে দশতলা বিশতলার ওপর থেকে ঝাঁপ দেয়, জানালার গ্লাস ভেঙ্গে নারীপুরুষের বাঁচার করুণ আর্তনাদ চারিদিক হৃদয়বিদারক করে তোলে, ঠিক তখনই জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে তাদের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক যুবক ও তার বন্ধুর। সেইদিনের আসল হিরো সেই যুবকই। সে-ই আসল সুপারম্যান। নাম জসিম উদ্দীন।

পাশের বিল্ডিং থেকে রশি ফেলে— নিচ থেকে রশি বেয়ে ওপরে উঠে আটকে পড়াদের নামিয়ে আনে জসিম। আল্লাহর দয়ায় এভাবে অনেক মানুষের জীবন বাঁচায় সে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জসিম সুপারম্যানের মতো রশি বেয়ে দ্রুত ওপরে উঠছে ও আটকে পড়া বিপদগ্রস্তদের নামিয়ে আনছে।

মন্তব্য করুন