

মনযূর বিন আসহাব
মাওলানা মুফতী জামিল আহমাদ সিকরোডভি রাহিমাহুল্লাহ। দারুল উলুম দেওবন্দের হাদিস ও ফিকহের সম্মানিত উসতাদ। তাঁর পিতার নাম- জনাব জান মুহাম্মাদ। তিনি হরিদওয়ার জেলার সিকরোডার অধিবাসী।
জন্ম:
তিনি ১০ এপ্রিল, ১৯৫০ সালে এ নশ্বর পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন:
তিনি প্রথমদিকে জামেয়া কাশিফুল উলুম চটমলপুর এবং মাদরাসায়ে খলিলিয়া সাহারানপুরে শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহণ করেন। ১৩৮৫ হিজরী মোতাবেক ১৯৬৬ সালে আজহারে হিন্দ দারুল উলুম দেওবন্দে প্রবেশ করেন এবং ১৩৯০ হিজরী মোতাবেক ১৯৭০ সালে হজরত মাওলানা সায়্যিদ ফখরুদ্দিন সাহেব মুরাদাবাদি রাহ. থেকে সহিহ বুখারির সনদ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
পাঠদান:
শিক্ষকজীবনের সূচনা হয় জামেয়া রাহমানিয়া হাপুড়ে। পরে জামেয়া কাশিফুল উলুম চটমলপুরে অতপর সাহারানপুরস্থ কাসিমুল উলুম গাগল হেড়ি মাদরাসায় সদরুল মুদাররিসিন ও শিক্ষাসচিবের দায়িত্বভার সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেন।
দারুল উলুমে নিয়োগ:
১৩৯৯হিজরী মোতাবেক ১৯৭৯ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে উসতাদ হিসাবে নিয়োজিত হন, ১৯৮২ সালে দারুল উলুমের ফিতনাকালে দারুল উলুম ওয়াকফের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে যান। ২০০০ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ তাঁকে পুণরায় নিয়োগ প্রদান করে এবং মৃত্যকালে উসতাজুদল ফিকহ ও হাদিস হিসাবে দায়িত্ব আঞ্জাম দেন।
রচনাবলী:
তাঁর পাঠদান যেমন সকল ছাত্রদের কাছে পছন্দনীয় ও গ্রহনীয়, রচনাবলীও সর্বমহলে সমাদৃত। তিনি দরসি কিছু বইয়ের উর্দুভাষায় ব্যাখ্যা করেন, যা পাঠকমহলে বেশ আলোচিত। শরাহের মাধ্যমে তাঁকে চিনেনা এমন তালেবে ইলম পাওয়া দুরহ। হিদায়ার শরাহ আশরাফুল হিদায়া ( প্রথম তিন খণ্ডের) তাফহিমুল হিদায়া( চতুর্থ খণ্ডের) যা সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও সমাদৃত। এছাড়াও নুরুল আনওয়ার, হুসামি, উসুলুশ শাশি, মুখতাসারুল মাআনি, তাফসিরে বাইজাভি (সুরা বাকারাহ) এবং তাহাভির ব্যাখ্যা লিখেছেন। (-মুখতাসার তারিখে দারুল উলুম দেওবন্দ,পৃ.৭০৮।)
দুআ করি, আল্লাহপাক যে হজরতুল উসতাদকে ক্ষমা করে জান্নাতের সর্বোচ্চ আসীন ফিরদাউসে স্থান করে দেন।