
‘সিটি ইকোনোমিক জোন’সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ৬৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবনে’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১১টি ইকোনমিক জোনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, নতুন ১৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন, ১৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উৎপাদনের উদ্বোধন, ২০ শিল্পকারখানার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন এবং পাঁচটি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন।
এ সময় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. ফখরুদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গণভবনে ইকোনমিক জোনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরাউদ্বোধন করেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে’রও। এ উপলক্ষে মীরসরাইয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহানসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বেজা-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ইকোনমিক জোনের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) জানায়, বেজা’র ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এরই মধ্যে শিল্পের চাকা ঘুরছে ছয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে। কারখানা স্থাপনের জন্য পুরোপুরি তৈরি আরো ৫টি।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট ৬৫টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৩০ সালের মধ্যে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে বেজা।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৮৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পেয়েছে। যেগুলোর ছয়টিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে; কারখানার স্থাপনের জন্য প্রস্তুত আরো ৫টি।
বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী জানান, ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৯টি কারখানা উৎপাদন শুরু করেছে। নতুন ৫টিসহ মোট ১১টিতে স্থাপন করা হচ্ছে আরো ২১টি কারখানা। এতে বিনিয়োগ হয়েছে ৩৪ হাজার কোটি টাকা। আর কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের।
সংস্থার হিসাবে, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার। যেখানে বিদেশি বিনিয়োগ ৪৯ হাজার কোটি টাকা। বেসরকারি অঞ্চলের সঙ্গে সরকারি অঞ্চল বাস্তবায়নও এগোচ্ছে দ্রুতগতিতে। এরইমধ্যে মিরসরাইসহ দুই অঞ্চলে কারখানা স্থাপন শুরু হয়েছে। কারখানা স্থাপনের জন্য প্রস্তুত আরো দু’টি অঞ্চল। অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হোন্ডা, টিআইসির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগ করছে।
বিনিয়োগের এ ধারা ধরে রাখতে নীতি সহায়তার ধারাবাহিকতায় জোর দিচ্ছেন বেজা চেয়ারম্যান।

