

বনানীর কামাল আতাতুর্ক সড়কের এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নীকান্ডে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীদের ভাষ্যমতে ১৯ জন নিহত ও ৭০ জন আহত হয়েছেন।
ভবনে আটকা পড়া নুরে জান্নাত শিফা (ছদ্মনাম) নামে নামের একটি মেয়ে অগ্নীকান্ডের সময় বেশ কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন। তিনি ওই ভবনের ৫মম ফ্লোরে আটকা পড়েছিলেন বলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে। কিন্তু এফআর ভবনে আটকা পড়ার আগে তার সর্বশেষ ফেসবুক পোস্ট ছিল গত ২৬ মার্চের।
সেখানে তিনি লিখেছেন,
“আমি চাই! মরণে যেন না কাঁদে এ ভুবন! আমি তো হারায়নি। বরং আমি তো এই ছিলাম ই না এই ভুবনের”
আটকা পড়ার পর তার চারটি ফেসবুক পোস্ট পাওয়া গেছে।
বিকেল ৪ টায় তিনি লিখেছেন,
FR Tower 5 এ আাটকে আছি।আল্লাহ হেফাজত করুন।
এর আধা ঘন্টা পরে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,
৫ নং এ…আল্লাহ আর কিছুটা সময়।
এক ঘন্টা পরে আবার লিখেছেন,
লা ইলাহা ইল্লালাহু মোহাম্মাদুর রাসুল্লাহ।
সর্বশেষ তিনি সন্ধ্যা ৬টায় পোস্ট দিয়েছেন,
মোবাইলে চার্জ নেই।হয়তে এটাই শেষ পোস্ট।আল্লাহ আমার পরিবার যেন আমাকে দেখতে পারে।
তবে বাঁচার আকুতি নিয়ে আল্লাহর শরণাপন্ন হওয়া মেয়েটি কী শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।
এভাবে অনেকেই ভবনের মধ্যে আটকা পড়ে ফেসবুকে সাহায্য চেয়েছেন সবার কাছে। জানিয়েছেন তাদের অবস্থান। কেউ ক্ষমা চেয়েছেন তাদের পরিবারের কাছে। ফেসবুকে আকুতি জানানো কয়েকজনের উদ্ধারের খবরও পাওয়া গেছে।
গত কিছুদিন আগেই চকবাজারের চুরিহাট্টার দগ্ধ ক্ষত পুরণ হতে না হতেই বনানীতে এই নির্মম দৃশ্য দেখলো দেশবাসী। ভবনের অব্যাবস্থাপনা ও ফায়ার এক্সিট প্লেস ওপেন না থাকায় দুর্ঘটনায় আহত নিহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে দাবি ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীদের।