

ফেসবুকে কোন তথ্যসূত্র ছাড়াই ছড়িয়ে পড়া একটি গুজবের ওপর ভিত্তি করে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেছে কথিত বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মিলাদ মাহফিল বিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে তার অপসারণেরও দাবি জানায় ভুঁইফোড় এ সংগঠনটি। বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন নামের ওই সংগঠনের আয়োজিত ওই মানববন্ধনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য ঈমানবিরোধী বলে দাবি করে বক্তারা বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বায়তুল মোকাররম মসজিদে সালাতু সালাম মাহফিল (মিলাদ মাহফিল) পড়তে নিষেধ করেছেন।
শেখ রায়হান রাহবারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আরেফ সারতাজ, আবু আবরার চিস্তি, সুফী আহমদ শাহ মোর্শেদ, আওয়াল কাদেরী, অ্যাডভোকেট মাঈনুদ্দিন, অ্যাডভোকেট শারমিন সুলতানা, অ্যাডভোকেট তানিয়া তানজিম, অধ্যাপিকা এমি নিশান প্রমুখ।
এদিকে মিলাদ মাহফিল নিয়ে যারা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ কওমী মাদরাসার ছাত্র ছিলেন
রোববার সকালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দফতরের এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররম এ মিলাদ মাহফিলে অংশ নেয়ার পরও একটি মহল ফেসবুকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে, যা অপ্রত্যশিত। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে মিথ্যাচার সহ্য করা হবে না।
শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, গত ৪০ বছর ধরে জাতির পিতার সমাধিতে মিলাদ মাহফিলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। অথচ একটি মহল শনিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিলাদ মাহফিল নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সম্মান হানি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমেছে। যারা ঘোলাপানিতে মাছ স্বীকার করার অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ধর্ম প্রান মুসলমানদের প্রতি আহবান জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
প্রসঙ্গত : গত দুদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে একটি গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে মিলাদ-কিয়াম বন্ধ করা হয়েছে বলে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর বরাতে ব্যাপক প্রচার করা হয়। তবে বিষয়টি পুরোপুরি গুজব ও অপপ্রচার বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।