
পাবলিক ভয়েস: কক্সবাজারে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- টেকনাফ উপজেলার নাজিরপাড়া এলাকার আজহার মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪০) ও জালিয়াপাড়ার গ্রামের আব্দুর শুক্কুরের ছেলে নুরুল আমিন (৩৫)।
পুলিশ বলছে- তারা দুইজনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি। ঘটনাস্থল থেকে ৮টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২০টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ শুক্রবার ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকায় ইয়াবা কারবারি দু’গ্রুপের অবস্থানের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে ইয়াবা কারবারিরা। আত্মরক্ষায় পুলিশও গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর ইয়াবা কারবারিরা পিছু হঠলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই দুইজনকে পাওয়া যায়। তাদের উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের এএসআই সঞ্জীব দত্ত, কনস্টেবল আল আমিন, সাইফুল ইসলাম, আরসাদুল ও সাব্বির আহত হন। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হচ্ছে।
অপরদিকে কক্সবাজারে পর্যটক আবু তাহের সাগরের হত্যাকারী শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কুরবান আলী ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এই সময় ডিবির চার সদস্যও আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোলাগুলির একপর্যায়ে সড়কের ওপর একটি অস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলিসহ এক সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকীৎসক ওই সন্ত্রাসীকে মৃত ঘোষণা করে।
হাসপাতালে আনার পর স্থানীয়রা ওই সন্ত্রাসীকে পর্যটক আবু তাহের সাগরের হত্যাকারী কক্সবাজার শহরের শীর্ষ ছিনতাকারী মো. কুরবান আলী বলে শনাক্ত করে। সে শহরের মোহাজের পাড়ার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

