
পাবলিক ভয়েস: বগুড়ার শাজাহানপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে মাইকিং করেছে আ.লীগ প্রার্থীর কর্মীরা।
গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিংয়ের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে রাত ১১টার দিকে তিন যুবককে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন- উপজেলা সদরের বাসিন্দা হুজাইফা, পলাশ ও রাসেল। পরে রাতেই তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শাজাহানপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা লিজা।
আটক ওই তিন যুবক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, নয়মাইল এলাকায় নৌকার প্রার্থীর বাড়ির সামনে থেকে আব্দুল হালিম ও শামিম নামে দুইজন আ.লীগ কর্মী সিএনজিচালিত টেম্পুতে করে তাদেরকে মাইকিং করতে পাঠিয়ে দেয়।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নৌকার প্রার্থী সোহরাব হোসেন ছান্নুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, তার নির্বাচনী ইমেজ নষ্ট করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, আটক তিন যুবক শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে আগামী ১৮ মার্চ তারিখে বিএনপির ভোটাররা যাতে ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে না যান সে জন্য মাইকিং করছিলেন।
মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি তিনি জানতে পারেন এবং তাদেরকে আটকের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর আটকদের কাছ থেকে মাইকিং কাজে ব্যবহৃত মেমোরি কার্ড জব্দ এবং তাদের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষ স্বীকার করায় তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
উপজেলা সদরের এই ঘটনা ছাড়াও গতকাল শনিবার রাতে একযোগে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর, টেংগামাগুরসহ কয়েকটি এলাকায় ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মী ও তাদের ভোটারদের না যেতে মাইকিং করা হয়েছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা নিশ্চিত করেছেন।

