বাবারা লাইনে থাকিস

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯
ডাকসু নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ইশা ছাত্র আন্দোলন কেন অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সাথে প্রতিবাদ কর্মসূচীতে শামিল হয় নাই অর্থাৎ কেন ‘হই হই রই রই’ কান্ডে জড়ায় নাই, সে ব্যাপারে কতকে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। ওখানে একদিন পরের দৃশ্যপট কি হয়েছে? ওসব পরিকল্পনায় নিয়েই নির্বাচন পরবর্তীতে ইশা ছাত্র আন্দোলন কোন উস্কানিমূলক কর্মকান্ডে জড়িত হয় নাই। এখন তো প্রমাণ হল!
কতকে আবার ওখানে নির্বাচন নয়, দাওয়াতে মনোনিবেশ করার এডভাইস করেছেন। ভালো কথা, তো আপনি করছেনটা কি? আপনাদের অংশগ্রহণ কই? ইশা ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে আপনার কিঞ্চিত ধারণা থাকলে এমন বোকা বোকা কথা বলতেন না। ওখানে ইশা ছাত্র আন্দোলন দাওয়াতী কার্যক্রম চালাচ্ছে বহু আগে থেকেই। ফলে একদল সুন্নাতের পাবন্দি তরুনকে  ক্যাম্পাসে বিচরণ করতে দেখা যায়। এরা কোন কওমী মাদ্রাসা থেকে আসেনি। অধিকাংশ ই জেনারেল লাইন থেকে কনভারটেড।
ডাকসুতে ইশার ভোট প্রাপ্তি নিয়েও দু’কলম লিখছেন কেউ কেউ। রেজাল্ট শীট পোস্ট  করেছেন কতক তালেবর। কতক আলেম নামের দুষ্ট প্রজন্ম ইশা ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহাসিক ভূমিকাকে ম্লান করতে ফেসবুকে তৎপরতা চালায়ে যাচ্ছেন। আসলে হিংসায় এরা কইলজাপোড়া ব্যাধিতে ভুগছে।
আরে আপনি তো নিজেই আছেন সুয়ারেজের মধ্যে। আপনি আরেকজনের পবিত্রতা নিয়ে ওয়াজ করলে পাবলিক খাইবে? খাইবে না। ক্ষূদ্র একটা গ্রুপ আজন্ম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বদনাম করে আসছেন, আপনারাই এখন হিতাকাঙ্খী সেজে উপদেশ খয়রাত দিচ্ছেন, ব্যাপারটা লেজে গোবরে হয়ে গেল না? আপনারা কল্যাণ কামী নন সেটা বহু আগে নিজেদের কর্মকান্ডে র দ্বারা প্রমাণ রেখেছেন।
ইশা ছাত্র আন্দোলন কেন ডাকসু নির্বাচনে গেল, এর অন্তর্নিহিত কারণটা তাঁদের দায়িত্বশীলরা ভাল জানেন। এর ফায়দা কি ও কতটা? সেটাও তাঁদের ধারণায় আছে। এটা বাইরের কেউ বোঝার কথা না। আপনি এখনো কেন বলছেন না? লা আদরি! মাস্টারি ফলাতে নিজের ক্লাসরুমে থাকাই উত্তম।

আপনি ইশা ছাত্র আন্দোলনের ডিসিশনের আগে তো পরামর্শ দেন নাই, ডাকসু বিষয়ে এটা করা উচিত বা এটা করা উচিত নয়। আর কেমনেই বা সুপরামর্শ দিবেন? আপনাদের কতকের রক্তে মিশে আছে ননস্টপ আদাওতি। সুতরাং আপনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঘরানায় অনাহুত ও অপাংক্তেয়। আপনাদের মত কালপ্রিটের যা স্বভাব, তা ই তো করে যাচ্ছেন। এতে আমরা আশ্চর্য হই না। ফলে আমরা একটুও দমি না, তলিয়ে যাই না বরং ভেসে থাকি এ দেশের বিপুল জনমানসের মাঝে, লাখো আলেমদের মনের গভীরে, সগৌরবে। আলহামদুলিল্লাহ্।


ডাকসুতে আমাদের ছেলেদের ‘এন্ট্রি’ ও ‘এক্সিট’ আল্লাহর রহমতে প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশার মাত্রা ও ক্ষেত্র বুঝতে আপনাকে তরবিয়াত নিতে হবে। আমাদের ‘উদ্দেশ্য’ সম্পর্কে আপনার ইলম ঘোড়ার ডিমের সাইজের। তাই নাক গলায়ে লাভ হবে না। পারলে সঠিক লাইনে থাকেন। না পারলে নাই। তবুও এটাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ।
কমলাপুর থেকে প্রতিদিন বহু ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রেলগাড়ি চলে রেলের উপর দিয়ে। যখন চাকা ওখান থেকে সরে যায়, তখন দূর্ঘটনা ঘটে। মানুষ হতাহত হয়। এ পর্যায়ে রেলগাড়ির চাকাগুলোরে একটাই নসীহত করা যেতে পারে- ‘বাবারা লাইনে থাকিস্।
লেখক-
বিশ্লেষক ও এক্টিভিস্ট।

মন্তব্য করুন