

ফ্রান্সে জনসংখ্যার তাত্ত্বিক হিসেবে এখন ইসলামই বিজয়ী। ফ্রান্সে অমুসলিম পরিবার প্রতি শিশুর সংখ্যা ১.২। কিন্তু মুসলিম পরিবারে শিশুর সংখ্যা এর ৫গুণ বেশি। আগে ফ্রান্সের মানুষ প্রতি রবিবার গির্জায় যেতো, এখন যায় প্রতি দুই মাসে একবার। তাই গির্জাগুলোর তিন চতুর্থাংশই খালি পড়ে থাকে। ইউরোপিয়ানদের সাথে মুসলমানদের কোনো ক্রুসেড যুদ্ধ হচ্ছে না। মুসলমানদের উপর পুরোপুরি প্রাধান্য বিস্তার করে আছে।
চৌদ্দশত বছরের ইতিহাসে কখনো মুসলমানরা এভাবে দীর্ঘকাল কাফেরদের হাতে মার খায়নি। সবদিকে আজ পৃথিবীতে মুসলমানরা নির্যাতিত। মুসলমান বাদশাহরা কাফেরদের পদলেহনে ব্যস্ত! যদি প্রাচ্যবিদদের অভিযোগ সত্য হয় যে, মুসলমানরা যুদ্ধে বিজয়লাভ করার পর তরবারি দ্বারা জোর করে মুসলমানদের ইসলামগ্রহণে বাধ্য করেছে। তাহলে বর্তমানে তাদের গোঁফে তেল লাগিয়ে ঘুমানোর কথা! কারণ খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরীদের তরবারিতে মরিচিকা ধরেছে বহু আগ থেকে। কাফেরদের সাথে অগ্রগামী যুদ্ধ করবে দূরের কথা, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারছে না ঠিকমত।
কিন্তু কথা হলো, কেনো মুসলমানদের সংখ্যা ইউরোপে শনৈঃ শনৈঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে? ইউরোপিয়ানরা এর জবাব দিতে পারবে? হয়ত তারা হয়ত বাস্তবতায় পৌঁছতে পারবে না। সঠিক কথা হলো, ইসলাম মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। কোনো মানুষ তার সুস্থ রুচি দিয়ে চিন্তা করলে ইসলামের দিকে ধাবিত হতে বাধ্য। এছাড়া বাহ্যিকভাবে আমরা ইউরোপিয়ানদের সুখী মনে করলে তাদের আত্মিক শান্তি বলতে কিছুই নেই। ইউরোপে নতুন আরেক আইয়্যামে জাহিলিয়্যাত। এমন কোনো পাপ নেই, যা ইউরোপে হয় না। ব্যভিচারকে আজ ইউরোপে অপরাধ করতে পারে না। ছেলের সামনে মা অন্য পুরুষের গলায় গলা মিলিয়ে মদ পান করে।
যদিও তারা নারী স্বাধীনতার শ্লোগান দেয় পুরো পৃথিবীতে, কিন্তু ইউরোপে নারীরা চরম অবহেলিত এবং অপমানিত হচ্ছে! নারী স্বাধীনতার কথা বলে বিবাহকে গুরুত্বহীন করে নারীদের ভোগের বস্তু বানিয়েছে! ইউরোপিয়ান অধিকাংশ সন্তান জানে না যে, আসলে তার পিতা কে? বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার সন্তানেরা মা, বাবাকে সন্তানরা পাত্তা দেয় না। অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন তখন তারা করে। এমন নব্য জাহিলিয়্যাত থেকে বাঁচতে ইউরোপিয়ানরা আজ দলে দলে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে।
ইউরোপের শিশুরা ছোটবেলা থেকে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে বড় হয়ে উঠে। তাদের অনেকেই পরবর্তিতে ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা করতে গিয়ে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয়গ্রহণ করে। পৃথিবীর ইতিহাসের নিকৃষ্ট জঙ্গী খ্রিষ্টান ভাইরা! একটু দাঁড়ান! আপনাদের সাথে গল্প করতে মন চাচ্ছে। এক ব্যক্তি সারাদিন চুরিবিদ্যা শিখতে লাগলো। কীভাবে অন্যের ঘরে পরিখা খনন ঘরে প্রবেশ করা যায়, তার কৌশল রপ্ত করতে থাকে! একদিন রাতে চুরির অনুশীলন করতে যায়। কিন্তু এসে দেখে যে, তার স্ত্রী-সন্তানকে বেধে রেখে চুরের দল সব মালামালা লুট করে নিয়ে গেছে! আপনারাতো সারা জীবন ব্যয় করেছেন ইসলাম সম্পর্কে মানুষের অন্তরে সংশয় সৃষ্টির কাজে! গুলি করে নিরীহ মুসলমানদের শহিদ করে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চাচ্ছেন? কিন্তু নিজেদের অজ্ঞাতাসারে আপনাদের প্রতিটি ঘর আলোকিত হতে শুরু করেছে ইসলামের আলোয়।