

পাবলিক ভয়েস: বিরাট কোহলি। এই নামেই লুকিয়ে আছে আধুনিক ক্রিকেটের সৌন্দর্য। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বর্তমানে বিশ্ব শাসন করছেন ভারত অধিনায়ক। অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতায় মুগ্ধ করে রেখেছেন ক্রিকেট বিশ্বকে।
তবে বিশ্ব যতই কোহলিতে মুগ্ধ হোক, তাকে নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই প্রতিপক্ষের বোলারদের। কী করে থামানো যাবে এই রান মেশনিকে? ভারতের বিপক্ষে জয়ের অন্যতম শর্ত যে কোহলিকে দ্রুত সাজঘরে ফেরানো। এটা অলিখিত যদিও।
এদিকে কোহলির ব্যাট অবিশ্বাস্য গতি ছড়াচ্ছে রানের ফুলঝুরি। এ পর্যন্ত খেলেছেন ২১৭টি ওয়ানতে। তাতেই তার ঝুলিতে ৪১টি সেঞ্চুরি। আর মাত্র ৯টি সেঞ্চুরি হলেই স্বদেশি কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির (৪৯) রেকর্ড নিজের করে নিতে পারবেন।
কোহলির সামর্থ্য বুঝতে আরেকটি পরিসংখ্যানের দিতে তাকানো যাক। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫টি সেঞ্চুরি করছেন কোহলি। যা একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সব ব্যাটসম্যানের মিলিত সেঞ্চুরির সমান। শুধু তাই নয়, একই সময়ে এই সংস্করণে পাকিস্তান (১৪), বাংলাদেশ (১৩), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১২) ও শ্রীলঙ্কার মোট সেঞ্চুরির চেয়েও কোহলির সেঞ্চুরির সংখ্যা বেশি।
তো এই ব্যাটসম্যানের উইকেট পেতে মরিয়া বোলাদের কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন শেন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি এই লেগস্পিনার শনিবার বেঙ্গালুরুতে এমসিসির ক্রিকেট কমিটির সভা শেষে ক্রিকইনফোর কাছে কোহলি বধের উপায় বর্ণনা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই লেগি বলেছেন, ‘আমরা মনে হয় কোহলির উইকেট পেতে একটা কাজ করতে হবে, যা দলগুলো খুব একটা করে না। তাকে দুই সাইডে খেলতে দেওয়া যাবে না।’
ওয়ার্ন পদ্ধতিটা ব্যাখ্যা করেছেন এইভাবে, ‘আপনি যদি কোহলির বিপক্ষে বল করেন তবে মাঠের এক পাশ বাদ দিতে হবে। হয় লেগ সাইডে ফিল্ডিং সাজিয়ে বল করবেন, না হয় অফ সাইডে ফিল্ডিং সাজিয়ে বল করবেন। স্টাম্পে বল করবেন না। কারণ এতে সে দুই দিকেই খেলার সুযোগ পাবে। সোজা কথা, একদিকে ফিল্ডিং সাজিয়ে সেই সাইড ধরে বল করতে হবে। সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল করতে বিশেষ কিছুই করতে হবে।’
টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে ১০০১ উইকেট নেওয়া এই বোলার আরো বলেছেন, ‘আমি কোহলির বিপক্ষে বল করলে লেগ স্টাম্পের বাইরে বল করতাম। আমি স্লিপ এবং শর্ট কভার ও আশেপাশে ফিল্ডিং সেট করতাম। এতে করে তার পক্ষে লেগ সাইডে খেলা কঠিন হয়ে পড়তো এবং আমি টানা এই লাইনে বোলিং করলে দুই-একটা বল মিসহিট হয়ে ক্যাচ উঠেই যাবে।’