
পাবলিক ভয়েস: দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আলপা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেডের এমডি খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বাকি অভিযুক্তরা হলেন- আলপা কম্পোজিট টাওয়ালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নওরীন হাসি, পরিচালক মো. শফিকুল আলম চৌধুরী, শাহরিশ কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেড এবং আলপা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেড, কুমিল্লার পরিচালক সারোয়ার জাহান, সারোয়ার জাহান, ডিএমডি ও অথরাইজড সিগনেটরি, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস লিমিটেডের পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস লিমিটেডের জিএম (কমার্শিয়াল) আবুল হোসাইন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেমস লিমিটেড, ঢাকার চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন।
অপরদিকে, চার্জশিট অনুমোদন হওয়া অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ শাহীনুর রহমান, ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএ রহিম (রুহুল আমিন), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহাবুদ্দিন সরদার, ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. তানজিবুল, সাবেক ডেপুটি ম্যানেজার জিএম শাহাদাত হোসেন, এক্সিকিউটিভ অফিসার আবু সালেহ মো. আরিফুর রহমান।
২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মতিঝিল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন মামলার বাদী দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক মো. ইদ্রিস আলী ফকির। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, তদন্তকালে দেখা যায়, খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরী তার কোম্পানি আলপা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেডের অনুকূলে ২০১১ ও ২০১২ সালের বিভিন্ন তারিখে পাওয়া চারটি এক্সপোর্ট কন্ট্রাক্টের বিপরীতে ব্যাংক টু ব্যাংক এলসি খুলে ওই এলসি’র বিপরীতে ইস্যুকৃত ইমপোর্ট বিল বাবদ দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল শাখার একসেপ্টেন্স গ্রহণ করে ব্যাংকের ৪৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকার দায় সৃষ্টি করেছেন এবং প্যাকিং ক্রেডিট (পিসি) বাবদ এক কোটি ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৯২২ টাকা গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে পাওয়াবিল অব লেডিং সমূহ জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের ৯ কোটি ৮১ লাখ ৪২ হাজার ৯০৭ টাকাসহ মোট ৫৯ কোটি ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪২৯ টাকা দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গপূর্বক এবং প্রতারণামূলকভাবে স্থানান্তর/রূপান্তর ও অবস্থান গোপনকরণের মাধ্যমে আত্মসাৎ করায় মামালাটি দায়ের করা হয়।
বিসমিল্লাহ টাওয়েলস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আলপা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেডের পরিচালক সংখ্যা তিনজন। এরা হলেন- নওরীন হাসিব, খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী ও শফিকুল আনোয়ার চৌধুরী।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন দীর্ঘ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করলে কমিশন মামলাটি আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেন। শিগগিরিই এ বিষয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।

