

-ওমর ফারুক মারুফ
প্রতিদিন এ দেশের লক্ষ লক্ষ মসজিদের মিনার থেকে উচ্চকিত হয় তাওহীদ ও ঈমানের মহান ধ্বনি৷ আজ সে দেশের জাতীয় সংসদেই হচ্ছে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা নিয়ে বিষোদগার কওমি মাদ্রাসা এবং আলেমদের ব্যাপারে কটুক্তি৷ জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত ও অপমানিত ৷সিংহ ভাগ মুসলমানের এই দেশে মেননদের মতো গুটিকতেক ভুঁইফোড় কথিত প্রগতিশীলদের এহেন দুঃসাহস কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না ৷
কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে তারা বীরদর্পে গাড়িতে দেশের পতাকা নিয়ে চষে বেড়াবে, ঈমানদার মুসলমানরা এটা কখনোই সহ্য করবে না৷ বাংলাদেশের সুদূর ও নিকট অতীতে যারাই ইসলাম ও কওমী মাদ্রাসাকে বাঁকা দৃষ্টিতে দেখেছে এদেশের তৌহিদী জনতা তাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে৷ তাদেরকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে৷বাংলাদেশের ভূমিতে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক মুক্তমনা প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের কোন স্থান নেই ৷ তথাকথিত নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন দাউদ হায়দার আসিফ মহিউদ্দীন ও তাদের দোসররা এর জ্বলন্ত প্রমাণ৷ তাই আজকে যারা সংসদে দাঁড়িয়ে ইসলাম ও আলেমদেরকে নিয়ে কটুক্তি করেছে তাদের আখের পরিণতি সেটাই ভোগ করতে হবে৷
আমরা তাদেরকে হুশিয়ার করতে চাই, হয়তো তোমারা ইসলামী আদর্শ ও আকীদা বিশ্বাস মনেপ্রাণে গ্রহণ করে নতশীরে এ দেশে থাকো অন্যথায় তোমাদেরকেও পূর্বসূরীদের মতো এ দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হবে৷ এদেশের মাটি অলি আউলিয়া পীর মাশায়েখ ও ইসলামপ্রেমিদের ঘাটি৷
এদেশে কোনো ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক মুরতাদের কর্তৃত্ব চলবে না৷ পরিশেষে আমরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই, সংসদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দাঁড়িয়ে বীরদর্পে ইসলাম ও কওমি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে মেনন যদি বিনাবিচারে পার পেয়ে যায় তখন সরকার কিছুতেই দায় এড়াতে পারবে না৷ সারা বাংলাদেশের তৌহিদী জনতার প্রাণের দাবি অবিলম্বে এই কুলাঙ্গারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করুন৷
যাতে ভবিষ্যতে অন্যকোনো বেয়াদব এই ধৃষ্টতা দেখাতে না পারে৷সরকার যদি এই বিশাল জনগোষ্ঠীর অনুভূতিকে অবমূল্যায়ন করে মেননের বিচার এড়িয়ে যায় তাহলে ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতা ফুঁসে উঠলে সরকারের তেমন কিছু করার থাকবে না ৷তাই দেশ, জাতি ও ইসলামের স্বার্থে অনতিবিলম্বে এই কুলাঙ্গারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে৷এবং তার ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করত জাতির সামনে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে৷