

পাবলিক ভয়েস: লালমনিরহাটের পাটগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ট্রাকে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে আ.লীগের নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৮টা থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। রাত পৌনে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাটগ্রাম কলেজ মোড় ও বাউরা মোড়ে অবরোধ চলছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাটগ্রাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান আ.লীগ মনোনীত রুহুল আমিন বাবুলের (নৌকা) সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন (আনারস)।
উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এলাকায় সন্ধ্যায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী সভা শেষে কর্মী সমর্থকরা বের হতে থাকলে নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মোতাহার, তামজিদ ও সুমন নামে তিন জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আনারস সমর্থক বুড়িমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্পাদক বাদশা মিয়া।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক পাটগ্রাম শহরের প্রবেশদ্বার কলেজ গেটে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে আনারস প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা। এ সময় তারা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
খবর পেয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম ও ওসি সাজ্জাত হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় ফের বুড়িমারী বাজারে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষুদ্ধ আনারস সমর্থকরা কয়েকটি ট্রাকে আগুন দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পাটগ্রাম উপজেলার প্রবেশপথ বাউরা বাজারেও অবরোধ করে রেখেছে আনারসের সমর্থকরা। এতে উভয় পাশে অর্ধসহস্রাধিক পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পুরো পাটগ্রাম উপজেলার মানুষ। রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের তথ্য জানা যায়নি। রাত পৌনে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সংঘর্ষ চলছিল।
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।