

বিশেষ সংবাদ-
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় আগত নিজামুদ্দীনের প্রতিনিধি জামাতের সাথে সাক্ষাত করতে এক কাফেলা নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি হজক্যাম্পে উপস্থিত হোন মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী এ সময় তিনি মাওলানা সাদ এবং তার মতাদর্শের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রদান করেন। এবং সঙ্গে সঙ্গে মুফতি ইজহার মৌলভী সাদকে সমর্থন জানিয়ে একটি চিঠিও দেন নিজামুদ্দীনের প্রতিনিধি দলের কছে। চিঠিতে মুফতী ইজহার লিখেন-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
হযরতজী মাওলানা মোহাম্মদ সাদ সাহেব বরাবর মুফতি ইজহারুল ইসলাম সাহেব কর্তৃক পত্র।
“বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সাইয়েদি ওয়া মাখদুমি হজরতজী [৪র্থ] মাওলানা মোহাম্মদ সাদ সাহেব দামাত বারাকাতুহুম আলিয়া, আমির, জামায়াতে তাবলীগ, মারকাজ নিজামুদ্দিন, দিল্লি।
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহমাসনুন সালাম ও অজস্র সম্মান প্রদর্শন করে বান্দা মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম, খাদেম, জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া লালখান বাজার, চট্টগ্রাম এবং হজরত মুফতিয়ে আজম মুফতি ফয়জুল্লাহ কুদ্দিসা সিররুহুম বাংলাদেশ এর উত্তরসূরী হওয়ার কারণে, সংকটময় মুহূর্তে তারি পদাঙ্ক অনুসরণ করে; দীর্ঘদিন হক তালাশের উদ্দেশ্যে ইস্তেখারা করতে থাকি। অবশেষে আল্লাহর পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুসংবাদ দ্বারা ধন্য হয়ে টঙ্গীর ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী নিজামুদ্দিন হতে আগত জিম্মাদারদের সঙ্গে নিজেও অংশগ্রহণ করেছি। বান্দা মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম ১৯৬৫ সালে প্রথমত হাটহাজারী ও দ্বিতীয়বার জামিয়া আশরাফিয়া লাহোর থেকে ফারেগ হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করার পর থেকে এই গুরুত্বর্পূণ কাজ [দাওয়াত ও তাবলীগ] এর সঙ্গে আছে। বান্দা মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম, হজরত মুফতি রিয়াজত আলী সাহেবসহ নিজামুদ্দিন-এর ৬জন জিম্মাদারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় এই সংকটময় মুহূর্তে আমার ইস্তেখারার রহস্য সম্বলিত বিষয়ে পর্যালোচনা করার পর পূর্ণাঙ্গ আত্মবিশ্বাস অর্জন করে হযরতওয়ালার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি।এবং গতকাল [১৯/০২/২০১৯] ঢাকার একটি সম্মেলনে বান্দা মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম, হযরত মাওলানা আবুল কাসেম নোমানী [দামাত বারাকাতুহুম আলিয়া মুহতামিম, দারুল উলুম দেওবন্দ] -এর সঙ্গেও নিজের অবস্থান প্রকাশ করেছি।আগামী ৮ মার্চ , শুক্রবার আমাদের মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলেও মাওলানা আহমদ খিজির [দামাত বারাকাতুহুম আলিয়াকেও শায়খুল হাদিস, ওয়াকফ দেওবন্দ] বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করানোর আশা করছি। পাশাপাশি অত্র জলসায় হাটহাজারী মাদ্রাসাসহ অন্যান্য বড় বড় মাদ্রাসা সমুহের আকাবির উলামাগন উপস্থিত থাকবেন। আমি সেখানেও বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট করবো ইনশাআল্লাহ। যার মাধ্যমে কওমের ভুল ধারণা নিরসন ঘটবে বলে আশা করছি। হযরতওয়ালার নিকট আমার দোয়ার আবেদন। এবং ইনশাআল্লাহ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে হযরতওয়ালার দরবারে উপস্থিত হওয়ার ইচ্ছা করছি। বাংলাদেশের যেসব উলামায়ে কেরাম অজ্ঞতাবশত যাচাই-বাচাই ছাড়াই এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তাদের সকলের পক্ষ থেকে আপনার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। যাতেকরে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে আল্লাহ তাআলা বেয়াদবির পরিণতি থেকে হেফাজত করেন।”
ফাকাত ওয়াসসালাম:-
মুহতাজে দোয়া, মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম [আফাল্লাহু আনহু]
খাদেম, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া লালখান বাজার, চট্টগ্রাম ১৭ জমাদিউল উখরা, ১৪৪০ হিজরি