

তৌকির আহমেদ, ঢাবি: আর কয়েক ঘণ্টা পরই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। আর এই উপলক্ষে ইতোমধ্যে প্রস্তুতির কাজও শেষ হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের। শহীদ মিনারকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে।
শহীদ মিনারের চারপাশে সাজ সাজ রব। রাত ১২টা ১মিনিটে শুরু হবে সালাম, বরকত, রফিক জব্বারদের স্মৃতির মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন। সমবেত কণ্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফ্রেব্রুয়ারি- আমি কি ভুলিতে পারি’- গান আর হাতে ফুল নিয়ে লাখো জনতার ঢল নামবে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে নিহত বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর সাধারণ মানুষের ঢল নামবে শহীদ মিনারে। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার অর্ঘে ভরে যাবে শহীদ বেদী।
গত কয়েকদিন যাবৎ শহীদ মিনারের চারপাশ জুড়ে ধোয়ামোছা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। দেয়ালে আঁকা হয়েছে চারুকলার শিল্পীদের তুলিতে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন স্মৃতি আর শ্লোগান।’ মাগো ওরা আমার মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়’, ’একুশ মানে মাথা নত না করা’ এমন অসংখ্য শ্লোগানে অঙ্কিত সম্মুখ সড়কের দেয়াল।
এদিকে শহিদ মিনারসহ এর আশেপাশের এলাকা নিশ্চিন্দ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর, ঢাকা মেডিকেল, পলাশীর মোড়, জগন্নাথ হলের পিছনের গেট সংলগ্ন মোড়, টিএসসিতে পুলিশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়ছে, টিএসসি মোড় থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশের রাস্তা ও মেডিকেল কলেজে যাওয়ার রাস্তাও। দোয়েল চত্ত্বর মোড় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজেরর সামনে পুলিশের একটি করে সাজোয়ানা যান ও জলকামান রাখা রেখেছেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের নিরাপত্তায় শহিদ মিনার ও এর আশেপাশের এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, র্যাবের বোম্ব ডিসসেপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্সকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকার তদারকিতে আছে র্যাব-পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, একুশে ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনারে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৬ হাজার পুলিশ। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ডগ স্কোয়াড, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, সোয়াত এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত রাখা হবে এবং একমুখী চলাচল থাকবে শহীদ মিনারের সামনের সড়কে।