চরমোনাইতে কেবল আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য আসতে হবে : পীর সাহেব চরমোনাই

চরমোনাই মাহফিল,

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

আজ বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হল চরমোনাই বাৎসরিক ফাল্গুনের মাহফিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। আমীরুল মুজাহিদিন মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম-এর (পীর সাহেব চরমোনাইর) উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

জোহরের নামাজের পর কীতর্নখোলা নদীর তীরে চরমোনাই জামেয়া রশীদিয়া আহসানাবাদ মাদরাসার ময়দানে এ মাহফিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মাহফিলের কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির প্রধান দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মোখতার হোসাইন পাবলিক ভয়েসকে বলেছেন,

“আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা মাহফিলের কার্যক্রম শুরু করছি, তিন দিনব্যাপী লাখো মুসুল্লির অংশগ্রহণে মাহফিল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এর আনুষ্ঠানিক বয়ানের মাধ্যমে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহফিল কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি । ইনশাল্লাহ নিয়মতান্ত্রিকভাবে মাহফিলের বাকি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তিন দিনব্যাপী মাহফিল রয়েছে প্রতিদিন ‘দিনব্যাপী’ কার্যক্রম

দুপুর ২ টায় জোহরের নামাজের পর মাহফিলের কার্যক্রম শুরু করেন মাহফিল কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনী বয়ানের আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন চরমেনাই মদরাসার উস্তাদ ক্বারী মোহাম্মদ উল্লাহ। এরপর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম উদ্বোধনী বয়ান শুরু করেন। বয়ানের আগে মুহুর্মুহু শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় মাহফিল ময়দান।

উদ্বোধনী বয়ানে আমীরুল মুজাহিদিন মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম মাহফিলে আগত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে “দরদমাখা” বয়ানে দিকনির্দেশনামূলক কথা বলেন। চরমোনাই ময়দানের এই বিশাল মাহফিলের প্রতিষ্ঠা ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে আমীরুল মুজাহিদীন বলেন, চরমোনাই মাহফিল সর্বপ্রথম বর্তমান পীর সৈয়দ রেজাউল করিমের দাদা সৈয়দ ইসহাক রহমাতুল্লাহ আলাইহীর মাধ্যমে শুরু হয় এরপর বর্তমান পীর সৈয়দ রেজাউল করিম এর পিতা সৈয়দ ফজলুল করিম রহমাতুল্লাহ আলাইহীর মাধ্যমে সম্প্রসারণ হয় যারা উভয়ই চরমোনাই ময়দানে শুয়ে আছেন। তিন পুরুষের ধারাবাহিকতায় ক্বারী ইবরাহীম (রহ.) এর আত্মশুদ্ধিমূলক তরিকার এই মাহফিল কার্যক্রম সারাদেশসহ বিদেশ থেকে আগত ওলামা কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের অংশগ্রহণে পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি মাহফিলে আগত সবাইকে অত্যন্ত জোর দিয়ে বলেন,

“চরমোনাই ময়দানে আসার আগে সবাই নিজ নিজ নিয়তকে ঠিক করে নিতে হবে, এখানে ধনী হওয়ার জন্য অথবা অর্থবিত্ত কামাই করার জন্য আসার নিয়ত না করার অনুরোধ করে তিনি তিনি বলেন এখানে কেবল আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য আসতে হবে”। এজন্য তিনি সর্বপ্রথম বুখারি শরীফের হাদিস “ইন্নামাল আ’মালু বি-ন্নিয়াত” দিয়ে বয়ান শুরু করেন।”

জোহরের নামাজের পর উদ্বোধনী বয়ানের মাহফিল কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর মাগরিবের নামাজ বাদে চরমোনাই পীর সাহেবের বয়ানের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক মূল বয়ানের কার্যক্রম চলবে। প্রথম দিন বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা এবং দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালের বয়ান করবেন আমীরুল মুজাহিদীন সৈয়দ রেজাউল করিম। দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা এবং তৃতীয় দিন সকালে নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বয়ান করবেন। তৃতীয় দিন সন্ধ্যা এবং শেষ দিন আখেরী মোনাজাতের আগে আমীরুল মুজাহিদীন এর বয়ান এর মাধ্যমে মূল বয়ান-এর কার্যক্রম শেষ হবে। সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল-এর সকল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সমাপ্তি হবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত : ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনসহ মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বেশ কিছু নিয়মতান্ত্রিক প্রোগ্রাম রয়েছে চরমোনাই মাহফিল ময়দানে। ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ সহ মিশর ওমান সিরিয়ার অনেক বিদেশী ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত থাকবেন।

মন্তব্য করুন