লাইফ সাপোর্টে কবি আল মাহমুদ

প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯

বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য কবি আল মাহমুদ ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ডাক্তাররা। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে আই সি ইউ ভর্তি হয়েছিলেন তিনি

আল মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারি আবিদ আজম পাবলিক ভয়েস কে তথ্য নিশ্চিত করেছেন । লাইফ সাপোর্টে থাকা কবির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তিনি।

বাংলা কবিতার কিংবদন্তিতুল্য কবি আল মাহমুদ দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থতায় ভুগছেন। তার এক চোখে সমস্যাসহ শারীরিক অনেক সমস্যায় তিনি জর্জরিত। প্রায় ৮২ বছর বয়সী এই কবি বার্ধক্যজনিত কারণেও শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। সম্প্রতি তার অবস্থা আরো খারাপের দিকে গিয়েছে।

আল মাহমুদ একাধারে উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, লেখক এবং সাংবাদিক। তবে আল মাহমুদের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন শক্তিমান কবি। বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আল মাহমুদের সাংবাদিকতার হাতেখড়ি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকার মধ্য দিয়ে। অধুনালুপ্ত দৈনিক গণকন্ঠের সম্পাদক বিংশ শতাব্দীর সক্রিয় এ আধুনিক কবি বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, ভাষা ও বাকভঙ্গীতে সমৃদ্ধ করে গেছেন।

কাব্যগ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’ আল মাহমুদকে স্বনামখ্যাত কবিদের কাতারে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ‘কালের কলস’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে উঠো’ ‘ সোনালী কাবিন’ তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। বাংলা কবিতার শহরমুখী প্রবণতার মধ্যেই ভাটি বাংলার জনজীবন নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের জীবন প্রবাহ , নরনারীর চিরন্তন প্রেম এই রোমান্টিক কবির কবিতার অনুষঙ্গ হিসেবে ধরা দেয়। আধুনিক বাংলা ভাষার প্রচলিত কাঠামোর মধ্যে স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঞ্চলিক শব্দের প্রয়োগ কবির অনন্য কীর্তি।

১৯৭৫ সালে কবি আল মাহমুদকে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘদিন দায়িত্বপালনের পর পরিচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালে অবসর নেন তিনি।

সাড়া জাগানো সাহিত্যকর্ম ‘ সোনালী কাবিন’ এর কবি আল মাহমুদ ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি জয়বাংলা পুরস্কার, জীবনানন্দ দাস স্মৃতি পুরষ্কার, সুফী মোতাহের হোসেন সাহিত্য স্বর্ণপদক, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক এবং ২১ পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন।

মন্তব্য করুন