কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ

প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
প্রতিবছরই ভাঙছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর দুপাড়।

পাবলিক ভয়েস: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর দুপাড়ে বিলিন হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভাঙন রোধে বিভিন্ন সময় আশ্বাস দেয়া হলেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

ফলে দীর্ঘ হয়েছে মানুষের হাহাকার। তবে এবার সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। আগামীকালই ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা এবং গুণগত মান নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কীর্তনখোলা রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ, ভালোবেসে যে নদীর নাম দিয়েছিলেন জলসিড়ি। বছরের পর বছর এই নদী যেমন উর্বর করেছে দুপাড়ের ফসলি জমি তেমনি এর রাক্ষুসী থাবায় নিঃস্বও হয়েছে বহু মানুষ।

কিন্তু ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ ছিল শুধুই আশ্বাসের বৃত্তে বন্দি। তবে এবার গতি পেয়েছে নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প। যা বাস্তবায়নে গত ১৪ জানুয়ারি খুলনা শিপইয়ার্ডের সাথে চুক্তি সই করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

সম্প্রতি কীর্তনখোলার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এ সময় তিন নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু এবং গুণগত মান নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।

প্রকল্পের আওতায় কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম তীরে ৩ হাজার ৩শ মিটার সিসি ব্লক বেড়িবাঁধ নির্মাণ ছাড়াও, ড্রেজিং করা হবে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা।

মন্তব্য করুন