
পাবলিক ভয়েস: গাজীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম ডগরী এলাকায় ছয়টি অবৈধ ইটভাটার মালিককে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ভূঁইয়া।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম ডগরী এলাকায় পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ইটভাটার কোনো অনুমোদন ও ছাড়পত্র না থাকায় মো. মোহসিন মাস্টারের মালিকানাধীন দুটি ইটভাটাকে (মেসার্স ডগরী ব্রিকস-১ ও ডগরী ব্রিকস-২) এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা, মেঘনা ব্রিকসের মালিক নাজির উদ্দিন জামালকে এক লাখ টাকা, লবনদহ ব্রিকসের মালিক সামিউল হাসানকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চারটি ইটভাটা ভেকু দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের পানি দিয়ে ইটভাটাগুলোর আগুন নেভানো হয়।
এদিকে ফাঁপা ইট প্রস্তুত না করায় একই এলাকার পাইনশাইল ব্রিকসের মালিক মজিবুর রহমানকে ২৫ হাজার টাকা এবং ডগরী ব্রিকস-২ এমএকের মালিক আশরাফুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ছয়টি ইটভাটার মালিককে মোট সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সালাম সরকার, রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন, পরিদর্শক দিলরুবা আক্তার ও শেখ মুজাহিদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন, জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জাকারিয়া এবং পুলিশ প্রশাসনসহ পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গাজীপুরের পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সালাম সরকার জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুরের পশ্চিম ডগরী এলাকায় অবৈধ ইটভাটা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনে ছয়টি ইটভাটার মালিককে মোট সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানাসহ ইটভাটার আগুন পানি দিয়ে নেভানোসহ ভেকু দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান উপ-পরিচালক সালাম।

