কাদিয়ানিদের ব্যাপারে সামাধানে আসুন

প্রকাশিত: ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯

পলাশ রহমান

কাদিয়ানিরা বাংলাদেশের নাগরিক। সকল প্রকারের নাগরিক অধিকার নিয়ে তারা বসবাস করবে। মুসলিম, হিন্দু, খ্রীষ্টানদের মতো স্বাধীন ভাবে ধর্ম পালন করবে, এতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু কাদিয়ানিদের সমাবেশ নিয়ে ইসলামপন্থীদের এত আপত্তি কেনো?
কারন হলো কাদিয়ানিরা মুহাম্মদ (স) কে শেষ নবী মানে না। তারা নবী মান্য করে মির্জা গোলাম আহমদ নামের এক ব্যক্তিকে, অথচ নিজেদের মুসলিম পরিচয় দেয়। ইসলামপন্থীদের আপত্তি এখানেই।

কেউ যদি মুসলমান হয় তাকে মুহাম্মদ (স) কে শেষ নবী মানতে হবে। কোরান হাদিস মানতে হবে। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো পালন করতে হবে। যদি কেউ এর ব্যতিক্রম করতে চায় ইসলামের পরিভাষায় সে আর মুসলমান থাকে না। সুতরাং কাদিয়ানিরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানদের মতো আলাদা কোনো ধর্ম পালন করুক কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তারা তা করে না। ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস অমান্য করে নিজেদের মুসলিম পরিচয় দেয়। যেমন খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের মধ্যে একটা গ্রুপ আছে জিহবার স্বাক্ষী। তারা নিজেদের যিশুর অনুসারী পরিচয় দেয়, কিন্তু গীর্জা মানে না। বড়দিন মানে না। পোপ মানে না, ইত্যাদী।


সব ধর্মের মধ্যে এমন কিছু বিশৃংক্ষলা সৃষ্টিকারী দল আছে। যারা যুগযুগ ধরে অশান্তি সৃষ্টি করে আসছে। যেমন মুসলমানদের মধ্যে সিয়া, আহলে হাদিস নামে আরো কয়েকটি ছোট ছোট গ্রুপ আছে, যারা এটা মানে তো ওটা মানে না। এটা বিশ্বাস করে তো ওটা করে না। এরা সারাক্ষন অন্যের ভুল ধরতে ব্যস্ত থাকে। কোরান হাদিস ঘেটে, অপব্যাখ্যা করে ফাতরা জটিলতা সৃষ্টি করাই তাদের কাজ।

এরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে মজা পায়। এদের মধ্যে কাদিয়ানিরা সব থেকে মারাত্মক। এরা নিজেদের মুসলিম দাবি করে, কিন্তু মুহাম্মদ (স) কে শেষ নবী মানে না। যা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের অন্যতম। যে কারনে সৌদি আরবসহ অনেক মুসলিম প্রধান দেশে এই সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষনা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ভাবে বলে দেয়া হয়েছে, তারা মুসলিম পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না।


বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদেরও অভিন্ন দাবি দীর্ঘ দিনের। কাদিয়ানিরা যদি ধর্ম পালন করতে চায় আলাদা কোনো নামে ধর্ম পালন করুক, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মুসলিম দাবি করতে হলে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস পরিবর্তন করা যাবে না।


বাংলাদেশের সরকাররা কেনো যেনো এই সমস্যার কোনো সমাধান করে না। কিছু দিন পরপর কাদিয়ানিরা মাথাচাড়া দেয়, ইসলামপন্থীরা ‘খতমে নবুওয়াত’ নামে তাদের প্রতিহত করে। কিন্তু এভাবে তো জনম জনম চলতে পারে না। সরকারের উচিৎ এর একটা স্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ নেয়া। কাদিয়ানিরা হয় স্বতন্ত্র কোনো পরিচয়ে ধর্ম পালন করুন, নয়তো ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস মেনে নিক।

মন্তব্য করুন