১৫, ১৬ মাও. জুবায়ের ১৭, ১৮ সৈয়দ ওয়াসিফ বিশ্ব ইজতেমার নেতৃত্ব দিবেন

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯

২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা এক পর্বেই অনুষ্ঠিত হবে কিন্তু সেই এক পর্বের মধ্যেই দুই দিন দুই দিন করে ভাগ করে মোট চার দিনে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই চার দিনকে বিবদমান দুই পক্ষকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। প্রথম দুই দিন অর্থাৎ ১৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নেতৃত্ব দিবেন তাবলীগের মূল ধারার নেতৃত্বে থাকা মাওলানা জুবায়ের আহমেদ সহ ওলামারা। এবং পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ ১৭ ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নেতৃত্ব দিবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারী সৈয়দ ওয়াসিফ এবং তার অনুসারীরা।

আজ বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ জায়েদ এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা অনেক ভেবে চিন্তে উভয় পক্ষের মতামত অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। আশা করি এর দ্বারা সুন্দর ভাবে তাবলীগের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্ব ইজতেমা বিষয়ে চলমান সংকট নিরসন হবে। তারা উভয় পক্ষ সুন্দর ভাবে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন করবেন বলেও তিনি আশাবাদী।

এর আগে বিশ্ব ইজতেমা বিষয়ক সার্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ জায়েদ তাবলীগের দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। এর মধ্যে নিজামুদ্দিন পন্থী মাওলানা সাদ অনুসারী দের পক্ষ থেকে নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ ওয়াসিফ অপরপক্ষে তাবলীগের মূলধারা এবং সাধারণ তাবলীগি দের পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন মাওলানা জুবায়ের। উভয় পক্ষকে নিয়ে বিশ্ব ইজতেমা কিভাবে সুসম্পন্ন হবে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ জায়েদ। আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমদফা বৈঠক শেষে ওইদিনই বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হয়।

পরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন ধরে বিভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে বিশ্ব ইজতেমাকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে। কোনোভাবেই এটাকে ভাগ করতে দেয়া যাবে না। গতবছরও গোলযোগ রাস্তায় এসে গিয়েছিল। আমরা এটা সফলভাবে নিবৃত করতে সক্ষম হয়েছি। ‘এবার দূরত্বটা অনেক বেশি, আরও শক্ত হয়েছে। শক্ত কারণগুলোর জট খুলতে আমাদের একটু শক্ত হতে হয়েছে। দু’পক্ষকে এক জায়গায় বসাতে সক্ষম হয়েছি, যাতে এক জায়গায় করতে পারি। এজন্য নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের।’

সেদিন তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে নির্বাচনে জয়ী হলো সরকার, প্রথম কাজটাই যদি হয় তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হচ্ছে না, নিন্দুকের তো আর অভাব নাই। বলবে যে তাবলিগটাই ভেঙে দিয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের ইমেজ জড়িত। তাবলিগ-জামাত হতে হবে, একসঙ্গে হতে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইমেজের সঙ্গে জড়িত।

মন্তব্য করুন