বগুড়ায় আ.লীগ নেতার কাণ্ড!

প্রকাশিত: ১১:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস: অবৈধভাবে খাস জমি দখল ও অন্যের বাড়িতে হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজের বাড়িতেই হামলার নাটক সাজিয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা। সৈয়দপুর ইউনিয়নের কেশরিপুর (কুল্লেরভিটা) গ্রামের বাদশা মিয়া আকন্দ নামে এই আ.লীগ নেতা এর আগেও নিজের বাড়িতে এ রকম হামলার ঘটনা সাজিয়ে মামলা করার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত বাদশা মিয়া সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেশরিপুর (কুল্লেরভিটা) গ্রামটি কুল্লের বিলের ওপর অবস্থিত। বাদশা আকন্দ ও তার গোষ্ঠীর লোকজন এই বিলের ওপর ভুয়া সিএস, ভুয়া এমআর, জমিদারের ভুয়া কবুলিয়াতনামা ও ভুয়া দলিল বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। এসব ভুয়া কাগজের বিষয়টি গ্রামের লোকজন বুঝতে পারলে তারা এই বিলে বাদশা মিয়াদের মাছ চাষ প্রকল্প বন্ধ করে দেয়।

কেশরিপুর (কুল্লেরভিটা) গ্রামের জালাল উদ্দিন প্রামাণিক জানান, গত ২৯ জানুয়ারি এই বিলে বাদশা আকন্দরা জোর করে জাল নামানোর চেষ্টা করে। এ সময় গ্রামের লোকজন তা প্রতিহত করতে চায়। এমন অবস্থায় বাদশা আকন্দ ও অন্য গ্রাম থেকে আনা তার ভাড়াটিয়া লোকেরা গ্রামবাসী ও তাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।

দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করলে কেশরিপুর (কুল্লেরভিটা) গ্রামের চামেলি বেগম, আফাজ্জল, সোনা মিয়াসহ ছয়জন মারাত্মক আহত হন। এছাড়াও ঘরবাড়ি ভাঙচুরসহ লুটপাট করে বাদশার লোকজন। এই ঘটনায় গ্রামের আফাজ্জল বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।

গ্রামের আরেক বাসিন্দা বেলাল মিয়া জানান, কুল্লের বিলে প্রায় সাত একর জমি রয়েছে। এই জমির দখল ঠেকাতে ও গত ২৯ জানুয়ারির হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন বাদশা ও তার লোকজন। পরদিন ৩০ জানুয়ারি নিজের বাড়িতে নিজেরাই হামলার ঘটনা সাজান বাদশা ও তার চাচাতো ভাই শাহিন। ওইদিন ভোরে কোনো কারণ ছাড়াই বাদশা ও শাহিনরা হৈচৈ ও চিল্লাচিল্লি শুরু করেন।

নিজেদের ঘড়ের বেড়া নিজেরাই ভাঙেন। আবার নিজের গরু-বাছুর পার্শ্ববর্তী ছাড়াফত ও রকিবুলদের বাড়িতে পার করার পর গ্রামের আব্দুর রহিম মোল্লা ও অন্যদের ওপর লুলপাটের অভিযোগ আনে। এছাড়াও খরের পালায় আগুন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় তারা।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন জানান, দুই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ দুটি তদন্ত করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন