

চবি প্রতিনিধি: চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে অনুষদভুক্ত ৯ টি বিভাগের ১৮-১৯ সেশনে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নবীণ বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয় বারের মত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হলো।
দুই দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ২৮ জানুয়ারি গতকাল সোমবার এবছর প্রথমবারের মত সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সকল বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখানো হয়। দ্বিতীয় দিন ২৯ জানুয়ারি সমাজ বিজ্ঞান অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. শিরিন আখতার, অরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির সাবেক উপাচার্য আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকী, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন উপ উপাচার্য ড. শিরিন আখতার, সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি এন এম সাজ্জাদুল হক, লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি এস এম মনিরুল হাসান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. আনোয়ারা বেগম, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি ড. নিতাই চন্দ্র নাগ,পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, ছাত্রছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. আহমদ সালাউদ্দীন, প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী, মেয়েদের হল জীবন নিয়ে বক্তব্য দেন শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট লায়লা খালেদা আঁখি এবং ছাত্রদের হল জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন আলাওল হলের প্রভোস্ট আব্দুল হক।
অনুষ্ঠান চলাকালীন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নবীন বরণ নিয়ে করা একটি ম্যাগাজিন এর মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং আরেফিন সিদ্দিকীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন বাঙালি বীরের জাতি, বাঙালি কাপুরুষ নয়। এ বছর নিজস্ব উদ্দোগে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছি। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট নিরসন, সীমানা প্রাচীর, নতুন ভৌত অবকাঠামো ও গবেষণাতে সাফল্য তুলে ধরেন।
অরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে ঢাবির সাবেক উপাচার্য আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা। শিক্ষকদের শ্রম ও শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ছাত্র। ছাত্রদের রুপান্তরিত হতে হবে শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে।
তিনি আরো বলেন একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষের যদি নৈতিকতা না থাকে তাহলে তা কোনো কাজে আসবে না। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই ঠিক করবে নিজেদের পথ আর শিক্ষক তাদের উজ্জ্বীবিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি পবিত্র অঙ্গন। এটি সত্যকে নিয়ে কাজ করে,সত্য অনুসন্ধান করে,সত্য প্রতিষ্ঠিত করে।জ্ঞানের রাজ্যে আমরা সত্যের অনুসন্ধানে নিয়োজিত আছি। শিক্ষার মূল লক্ষ্য মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো।