নান্দাইলে বারুইগ্রাম চৌরাস্তা সরকারি গরুর হাট দলীয় প্রভাবে দখলের অভিযোগ- ইজারাদারকে প্রবেশে বাধা

প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫

আকরাম হোসেন নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধিঃ 

নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রাম চৌরাস্তা সরকারি ইজারাকৃত গরুর হাট দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কিছু দলের পরিচয়ধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ইজারাদার মোঃ মোমতাজ উদ্দিনের লিখিত আবেদনের সূত্রে জানা যায়, ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য বৈধভাবে ইজারা গ্রহণের পর তিনি নিয়মিতভাবে গরুর হাট পরিচালনা করে আসছেন।ভুক্তভোগীরা জানান, বিগত কিছুদিন পূর্বে একটি স্বার্থন্বেষী মহল বারুইগ্রাম চৌরাস্তা বাজারটি সরকারি পতিত জমিতে ‘রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে’—এ মর্মে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। রিটের প্রেক্ষিতে আদালত ছয় মাসেরস্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে বৈধ ইজারাদার বাজার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নথিপত্র উপস্থাপন করে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি পর্যালোচনা করে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বাতিল করে বাজার যথানিয়মে পরিচালনার অনুমতি প্রদান করেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর ২০২৫) নির্ধারিত হাটবারে হাট পরিচালনার সময় তাঁর ওপর বাধা সৃষ্টি করা হয়।ইজারাদার অভিযোগ করেন—

উপজেলা বিএনপি ও যুবদল পরিচয়ধারী শাহেদ আলী (৫০), শাকিল (৩৫), তাপস (৩৫), জাহিদ (৩৬), পাবেল (৩৮), মামুন (৩৬) ও মিজান (৪২)সহ তাদের অনুসারীরা দলীয় প্রভাব দেখিয়ে গরুর বাজার দখল করে টোল আদায় শুরু করে। এমনকি হাটবারে তাঁকে বাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ইজারাদার মোমতাজ উদ্দিন আরও বলেন, “আমি সরকারের কাছে ইজারার সমস্ত টাকা, ১৫% ভ্যাট, ১০% আয়কর ও ৫% জামানত সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছি। সরকারের কোনো পাওনাও বকেয়া নেই। অথচ বৈধ ইজারাদার হয়েও রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে আমাকে হাট চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমাকে বাজার পরিচালনা করতে না দিলে আমি আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরব। তাই অবশিষ্ট ৪ মাস শান্তিপূর্ণভাবে বাজার পরিচালনায় জন্য আমার জরুরি প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”

এ ঘটনায় তিনি নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন এবং প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা সহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিছেন। সেইসাথে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা ও সু’দৃষ্টি কামনা করেছেন।

বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, জনস্বার্থের বিষয় হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ হাটে আগত সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা দ্রুত সমস্যার সমাধান চান। তারা জানান, সরকারি ইজারাকৃত বাজার দখল হয়ে গেলে বাজার শৃঙ্খলা নষ্ট হবে এবং জনদুর্ভোগ বাড়বে। এ বিষয়ে তারা দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়- বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন