নান্দাইলের মেরেঙ্গা আব্দুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের রাজসিক বিদায় সংবর্ধনা 

প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২৫

আকরাম হোসেন নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধিঃ 

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মেরেঙ্গা আব্দুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শাহজাহান এবং সহকারী শিক্ষক জনাব মোঃ হামিদুর রহমান খান মহোদয়ের সম্মানে এক রাজসিক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।২২ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ বিদায় অনুষ্ঠানটি এক অনন্য আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে।আব্দুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষকবৃন্দ, সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম রবিন।সঞ্চালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র তানিম আহমেদ (চাঁন মিয়া) এবং শফিকুল ইসলাম খান (রিপন)।অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিদায়ী দুই শিক্ষককে কর্মনিষ্ঠা, চরিত্রগঠন, নিষ্ঠা ও মানবিক মূল্যবোধের আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করেন। বক্তারা বলেন—শিক্ষক শাহজাহান ও শিক্ষক হামিদুর রহমান শুধু শিক্ষক নন, তাঁরা ছিলেন এই বিদ্যালয় ও এলাকার আলোকবর্তিকা।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুলতান উদ্দিন পাঠান, সাবেক সভাপতি, আব্দুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়

রমজান উদ্দিন ভুঁইয়া, দাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া, অবসরপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার সুলতান উদ্দিন মাষ্টার, সভাপতি, নান্দাইল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি মতিউর রহমান, প্রধান শিক্ষক, কাশিনগর উচ্চ বিদ্যালয়

এডভোকেট মতিউর রহমান

সাবেক ছাত্র: হায়দার আলী পাঠান, মোঃ শামীম, আব্দুল আওয়াল, ফখরুল ইসলাম নয়ন, হারুনর রশীদ এবং নান্দাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক বাবুল।

এসময় উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, অভিভাবক সহ স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বিদায়ী শিক্ষকদের আত্মত্যাগ, আদর্শ, দায়িত্ববোধ ও ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক শিক্ষায় তাঁদের অবদানের কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাঁদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন উপস্থিত বক্তারা।বিদায়ী উভয় শিক্ষকই আবেগঘন কণ্ঠে বলেন— এই বিদ্যালয় আমাদের প্রাণের জায়গা। ছাত্র-ছাত্রীদের হাসি, সাফল্য ও ভালোবাসাই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। বিদ্যালয়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের সম্পর্ক আজীবনের।’অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী দুই শিক্ষককে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সাজুয়া মাইক্রোবাসে উঠিয়ে মিলনমেলার পরিবেশে এক গাড়ি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে সবার ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা নিয়ে তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিবেশ ও বিদায় সংবর্ধনাটি শিক্ষাঙ্গনে এক ব্যতিক্রমী সম্মাননা হিসেবে সকলের মনে জায়গা করে নেয়।

মন্তব্য করুন