ঈশ্বরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভ্যান চালককে মারধর ও তার বাড়িঘর ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ 

প্রকাশিত: ৬:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৫

আব্দুল্লাহ জোবায়ের (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টুর বিরুদ্ধে এক ভ্যান চালককে মারধর ও তার বাড়িঘর ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় আহত ভ্যানচালক হারুন খান (৪৮) ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সরেজমিন ঘুরে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ সোমবার বিকেলে জাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টু (৪৩) প্রতিবেশী ভ্যান চালক হারুন খানের বাড়ি গিয়ে তাকে ভাড়ায় যেতে অনুরোধ করলে ভ্যান চালক অপারাগতা প্রকাশ করেন। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ভ্যান চালক হারুনকে মারধর করেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান ঝন্টু আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গত ২অক্টোবর বৃহস্পতিবার তার দলবলসহ ওই ভ্যান চালকের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে বশতঘর ভাংচুর করে। হারুনের আয়ের একমাত্র অবলম্বন ভ্যানটি নিয়ে যায়। ওই সময় তাদের ফিরাতে এসে মারধরের শিকার হন ৭৫বছর বয়সী হারুনের মা জোবেদা খাতুন ও স্ত্রী জোসনা খাতুন (৪৩)।

ভ্যান চালক হারুন খান বলেন, ঘটনার দিন চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টু একটি ট্রান্সফরমার নিয়ে ভাড়ায় যেতে বলেন। আমি যেতে অস্বীকার করলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে এবং হাতে থাকা কাঠের চেলা দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে তাকে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার দিন চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টুর নেতৃত্বে বাচ্চু মুন্সী (৫৫), আব্বাস আলী (৪০), হাবিবুর রহমান (৪৬), আঃ হেকিম (৬০), শাহাব উদ্দিন খা (৫৫) সহ নাম না জানা অপরিচিত আরো কিছু লোক আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। চেয়ারম্যানের অব্যাত হুমকীর কারণে আমি বাড়ি যেতে পারছি না। আমি আইনগত বিচার চাই।

জাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টু বলেন, এলাকার লোকজন তাকে ভাড়ায় যেতে বললে হারুন বরাবরই অস্বীকার করে। এসব নিয়ে এলাকার লোকজন আমার কাছে প্রায়ই বিচার দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি একটু শাসন করেছিলাম। পরে থানায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয় হারুন। এসব বিষয় নিয়ে এলাকার লোকজন হারুনের বাড়িতে প্রতিবাদ করতে গেলে আমি তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন