 
                                       
আব্দুল্লাহ জোবায়ের ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি খামার থেকে এক রাতে আটটি ষাঁড় গরু চুরি হয়েছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে পৌর শহরের চরনিখলা গ্রামের আবদিয়া এগ্রো খামারে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় খামারিদের মধ্যে গরুচুরি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ঘটনার পর আজ (২ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন খামারটির মালিক মো. আরিফ হোসেন সায়মন।
খামারের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, চোর চক্রের চার সদস্য বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ৪ টার দিকে খামারের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। খামারে থাকা ৮ টি ষাঁড় গরু নীল রঙের একটি পিকাপভ্যানে তুলে নিয়ে যায় চোর চক্র।
খামারের কর্মচারী ও পাহাড়াদার আল-আমিন (৪০) বলেন, রাত ২ টা পর্যন্ত আমি সজাগ ছিলাম। দুইটার পর হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল ৭ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি খামারের বেড়ায় মুড়ানো পর্দা খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। তাড়াতাড়ি দরজার কাছে গিয়ে দেখি খামারের দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখি একটা গরুও নেই খামারে।
খামারের মালিক মো. আরিফ হোসেন সায়মন (৩৭) বলেন, ‘ সকাল ৭ টার দিকে খামারের পাহাড়াদার আল-আমিনের ফোনে আমার ঘুম ভাঙে। দৌড়ে খামারে এসে দেখি সব গরু চুরি হয়ে গেছে।
এ সময় আমাদের ডাক-চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে আসে। ফজরের আজানের সাথে সাথেই খামার থেকে গরুগুলো চুরি হয়।
সিসিটিভির ফুটেজে শুনা গেছে ফজরের আজানের আওয়াজ ,শুনা যায় গরুর হাম্বা হাম্বা শব্দও। খামারে থাকা ৮ গরুর আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ টাকা। অনেক কষ্ট করে তিলে তিলে আমি খামারটি গড়ে তুলেছিলাম। কথাগুলো বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন খামারি সায়মন। তিনি চরনিখলা গ্রামের হারেছ সরকারের ছেলে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন,’অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল সরেজমিনে খামার পরিদর্শন করেছি। খামারির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে। খামারির গরুগুলো উদ্ধারে আমাদের সর্বোচ্চ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
 
		
