 
                                       
আশরাফ আলী ফারুকী
প্রশাসনিক বিভক্তির কারণে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ভোগান্তি পোহানোর পর গফরগাঁও থানায় অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলেছে ময়মনসিংহের ৯নং পাঁচবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ শিক্ষা, চিকিৎসা,যাতায়াত ও প্রশাসনিক সেবার জন্য প্রতিনিয়ত গফরগাঁও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। তৎসময়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তাদেরকে পাগলা থানার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০১১ সালের ৩১ মে সরকারের সিদ্ধান্তে গফরগাঁওকে বিভক্ত করে পাগলা নামে নতুন থানা গঠন করা হয়। ২০১২ সালের ২৩ মে থানার কার্যক্রম শুরু হয় এবং এর আগে ২৫ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গেজেট প্রকাশিত হয়। ওই সময় থেকেই পাঁচবাগ ইউনিয়নবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ ও হরতাল করে প্রতিবাদ জানান।
ইউনিয়নবাসীর দাবি, এই সংযুকৃতির ফলে তারা ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। থানা পুলিশের কাজে যেতে হচ্ছে দূরবর্তী পাগলা থানায় আর উপজেলা প্রশাসনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু করতে হয় গফরগাঁওয়ে। এতে সময়, শ্রম ও অর্থ অপচয় হচ্ছে।
পাঁচবাগ ইউনিয়নের প্রবীণ শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বলেন,আমাদের স্কুল-কলেজ,হাট-বাজার, চিকিৎসা,সিভিল প্রশাসন সবকিছু গফরগাঁওয়ে। কিন্তু আমাদের থানা পুলিশের জন্য শুধু যেতে হয় পাগলায়। সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক। এতে শুধু ভোগান্তি বাড়ছে।
অপর বাসিন্দা আদেল ফারহান জানান,পাঁচবাগ ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদর ও থানার দুরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার। এদিকে পাগলা থানার দুরত্ব প্রায় দ্বিগুণ।
প্রথম থেকেই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও রাজনৈতিক চাপে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করা যায়নি। বর্তমানে তারা ইউনিয়ন পরিষদকে গফরগাঁও থানার অধীনে পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছেন।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়ে তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
 
		
